ঢাকা: ভারতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট থেকেই তিনি ভারতের আশ্রয়ে আছেন।
সোমবার, ১৭ নভেম্বর হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। যদিও হাসিনা একা নন, বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জ্মান খান এবং বাংলাদেশের পুলিশের প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও রয়েছেন অভিযুক্তের তালিকায়।
এখানে মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
হাসিনার মৃত্যুদন্ডের কথা ঘোষণা হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লেখেন, ‘হাসিনার যে কাজকে ইউনুস এবং তার জিহাদি বাহিনী অন্যায় বলে ঘোষণা করেছে, সেই একই কাজ তারা অর্থাৎ ইউনুস এবং তার জিহাদি বাহিনী যখন করছে, তখন সেই কাজকে তারা ন্যায় বলে ঘোষণা করছে।’
লেখিকা আরও লেখেন, ‘কেউ নাশকতামূলক কাজ করলে তাকে গুলি করা নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান সরকার। হাসিনা যদি একই নির্দেশ দিয়ে থাকেন, গত বছরের জুলাই মাসে তাহলে তিনি অপরাধী হবেন কেন?
জুলাইয়ের যে সন্ত্রাসীরা নাশকতামূলক কাজ করেছে, মেট্রোয় আগুন দিয়েছে, স্নাইপার দিয়ে মানুষ মেরেছে, পুলিশ জবাই করেছে, তাদের বিচার কেন হবে না? বিচারের নামে প্রহসন কবে বন্ধ করবে বাংলাদেশ?’
তসলিমার এই পোস্টে কমেন্ট করে অনেকেই নিজেদের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড যে অনেককে হতাশ করে যে তা কমেন্ট বক্স দেখেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
যদিও এই তসলিমা প্রথম থেকেই একহাত নিচ্ছিলেন শেখ হাসিনাকে এবং সাথে খালেদা জিয়াকেও।
তাঁর অভিযোগ একটাই, এবং সেই নিরিখেই তথা তাঁর মাপের একটাই কাঠি তাঁকে দেশে আসতে দেয়া হয়না! খালেদাও যে পথে হেঁটেছেন, শেখ হাসিনাও একই পথে তসলিমার ক্ষেত্রে।
তাঁর একহাত নেয়ার সবচেয়ে মুখ্য কারণ এটাই। যদি তিনি দেশে আসতে পারতেন, আসার সুযোগ দেয়া হতো তাহলে হয়তোবা সমালোচনাগুলোও তিনি করতেন না।
