ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে শান্তিতে নোবেল পেলেন? এই বিষয়টা খুব সন্দেহজনক। যিনি অশান্তির মাস্টারমাইন্ড তিনি পান শান্তিতে নোবেল!
সারা দেশ যখন মাইলস্টোনের শোকে কাঁদছে হাউহাউ করে তখন ইউনূস বৈঠক করছেন হাসিমুখে। এই কী তাঁর মায়াকান্না?
বিবেকহীনদের মিটিং। ওনারা পিকনিক করছেন মসনদে বসে। সারাদেশ যখন শোকে মুহ্যমান ওনাদের মুখে হাসি আসে কীভাবে!
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়।
পুরো দেশ শোকাহত আর এই দিকে ইউনূস খুশি, কোনো চিন্তা নেই, পোড়া লাশের গন্ধ তাদের নাকে আসে না।
গতবছর, প্রধান উপদেষ্টা ছুটে গেলেন রংপুর আবু সাঈদের বাড়িতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা না করেই তিনি গিয়েছিলেন রংপুর, কত কান্নাকাটি, হায়রে কপাল, আজ কোমলমতি শিশুদের মৃত্যুতে তাঁর কোনো কান্না নাই।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে চার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ‘ঐক্যবদ্ধ থাকার’ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
জঙ্গীরা সব ঐক্যবদ্ধ হয়েই তো দেশটাকে উচ্ছন্নে নিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, আগের মতই মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় মঙ্গলবার রাতের এ বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও বিএনপি এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন।
তবে বৈঠক শেষে তারা সাংবাদিকদের সামনে কোনো কথা বলেননি।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা চারটা দলই বলেছি—বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি—সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বলেছি যে আমরা অবশ্যই সরকারের পাশে অতীতেও ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও ইনশাআল্লাহ এই সরকারের পাশে থাকব।”