ঢাকা: বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছেন ইউনুস। হিন্দুর উপর নির্যাতন চলছে হিন্দু মেয়েদের উপর নির্যাতন, ইসকন,মন্দির ভাঙচুর, স্বৈরাচারী, ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ধিক্কার জানাচ্ছে হিন্দুরা।
কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছেও না, হবেও না। পাকিস্তানি সেনারা যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে সে সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে ইউনূস গং।
আর ধর্ম উপদেষ্টার মতো মিথ্যাবাদী আর কে আছে? মুখে বড় বড় আলাপ অথচ কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি- ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা, মানবাধিকার এসব নিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর কথা বলেন রাজনীতিবিদ, উপদেষ্টাসহ সরকারের কর্তারা। কিন্তু কাজের বেলায় পুরো উল্টো! এভাবেই চলছে বাংলাদেশ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে কাজ করছে। কোনো বিভাজন কিংবা বৈষম্যের শিকার যাতে কেউ না হয় সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সতর্ক।
কীভাবে সতর্ক সেটা তারাই বলতে পারবে! সনাতনীদের অনুষ্ঠানে এলে উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টারা সনাতনীদের পক্ষে এভাবেই কথা বলেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিনে জেএম সেন হলে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণে প্রগতিশীল, কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়তে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে নয়- জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে।
কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ; সেটি বিষয় না। দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। এর ব্যত্যয় ঘটতে পারবে না। তাহলে এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ঐতিহাসিক জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন, যাত্রা মোহন সেন, নেলী সেনগুপ্ত ও মহিম চন্দ্র দাশের আবক্ষ ভাস্কর্য ঘুরে ঘুরে দেখেন।