ঢাকা: চিন্তার কথা ভাবনার কথা। এ দেখা তো শেষ দেখা নয় তো।এ দেশ জোয়ার ভাটার দেশ। সত্য সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ!
৭১ এর ঘাতকরা জোট বেঁধেছে, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধ্বংস করে সাহস দেখিয়েছে। জঙ্গী ইউনুস আমেরিকা চীন পাকিস্তান নিয়ে দেশ ধ্বংস করতে মেতে উঠেছে।
আ. লীগের কেন্দ্রীয় অফিস দখল করে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। এ কিসের ইঙ্গিত?
এ দখলদার সরকারের কিসের জন্য এই দখল? আওয়ামী লীগকে জঙ্গিকায়দায় দেশি বিদেশিদের ষড়যন্ত্র ও দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত করে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতাড়িত করেও অবৈধ ইউনুস সরকার তাঁর উপদেষ্টা, এনসিপি জামাত শিবিরের সাঁধ মেটেনি। এখন স্বাধীনতার নেতৃত্বকারী দলের অফিস দখল?
তাঁদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়নি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, এবং আওয়ামী লীগ তাঁর সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। আওয়ামী লীগের সৎ নিষ্টাবান, নিবেদিত দেশপ্রমিক ও দলের নিষ্ঠাবান লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারছেনা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, উপরন্তু তাঁদের দিবানিশি হত্যা নির্যাতন চলছে।
তাঁদের বাড়িঘর ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। মামলা, হামলা করে প্রতিদিন জেলে দেওয়া হচ্ছে। এ নারকীয় বৈষম্য হিংসা বিদ্বেষ জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে?
আমাদের দেশের বিজ্ঞ নাগরিক বুদ্ধজীবিরা এ বিষয়ে ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন, কোন প্রতিবাদও করেননি।
বিএনপি জামাত শিবির এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির স্হপতি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙ্গে দিলো, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্তাপনাগুলি- ধ্বংস করলো, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবাদ জানালো কিন্তু তাদের কর্ণগোচর হল না। এর ফল একদিন খুবই খারাপ হবে।
এ সন্ত্রাসী ইউনুস সরকার ও জামাত শিবির এনসিপিকে একদিন কড়ামূল্য দিতে হবে। এভাবে একটি দেশ জাতি চলতে পারেনা।
চার দশকের বেশি সময় ধরে যে জায়গায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিচালিত হচ্ছিল, সেখানে জঙ্গী গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভবঘুরেদের একটি দল ভবনটি দখলে নিয়েছিল; এখন সেই ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ‘ছাত্র’ পরিচয়ধারী আরেক জঙ্গী পক্ষ।
এ বছর জুলাইয়ে ভবনটি দখলে নেওয়ার পর তারা ঘোষণা দিয়েছে সেখানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হবে।
প্রধান ফটকে লেখা- ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’।
অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর ওই ভবনের সামনের সড়কের নামও বদলেছে; বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এখন শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ।
মোদ্দাকথা বাংলাদেশ পুরোপুরি জঙ্গীদের দখলে গেছে।
তবে যারা দখল করলো তাদের সম্পর্কে নাকি কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই।