ময়মনসিংহ: সরাসরি ভারতের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে জঙ্গী ইউনূস বাহিনী। হিন্দু বিদ্বেষ এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভয়ঙ্কর জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী করে তোলা হয়েছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে না-ফেলার আর্জি জানিয়েছে ভারত সরকার।

এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি ভেঙে না ভেঙে ফেলে, সতর্ক করা হয়েছে৷ প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে ভারত।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

কিন্তু তারপর থেকেই দেশে মৌলবাদী গোষ্ঠী, জঙ্গীরা একের পর এক স্থাপনা ভেঙেছে। সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে।

মাসখানেক আগে বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল ইউনূসের জঙ্গী সহচরেরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার ঘটনাা সামনে এসেছে।

সংস্কারের নামে বসে দেশটাকে সন্ত্রাসী দিয়ে ভরেছেন ইউনূস। জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন জঙ্গীদের।

দিল্লির তরফে ময়মনসিংহের ‘ল্যান্ডমার্ক’ ভবনটি ভেঙে ফেলার পদক্ষেপকে ‘গভীর দুঃখের’ বিষয় হিসাবে বর্ণনা করে ঢাকাকে এটিকে দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এটি জাদুঘর করার আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনুস সরকার হিন্দুদের শেষ স্মৃতি চিহ্নটুকুও মুছে ফেলতে চান! নইলে এ অনাচার, অবিচার কেনো? বাংলাদেশ সরকার কি জানে মৌচাকে ঢিল মারছে তারা?

বাংলাদেশ এখন আর সে দেশ নেই। কবিগুরুর সোনার বাংলা শেষ হয়ে গেছে।

সত্যজিৎ রায় বাঙালি জাতির গর্ব। তাঁর বাবা সুকুমার রায় ছিলেন বাঙালির আরও এক গর্ব, বাংলা শিশু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক সুকুমার রায়ের সুযোগ্য পুত্র সত্যজিৎ রায় তাঁর সংস্কৃতি ভাবনায় বাঙালিকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন।

সংস্কারের নামে গোটা‌ দেশ ভেঙে জঙ্গীবাদ বসাচ্ছে ইউনুস। শুধু বাকির মধ্যে বাকি এখন পদ্মা সেতু!

এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ইতিহাস সচেতন নাগরিকেরা।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন; এ ভবনটি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি বিজড়িত এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের অংশ। হরিকিশোর রায়ের নামে শহরের একটি রাস্তার নামকরণ হয়েছিল ‘হরিকিশোর রায় রোড’।

এই দখলদার ইউনূস কোনো স্মৃতি অবশিষ্ট রাখবেন না!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *