ঢাকা: এক বছর পেরিয়ে গেল উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টাদের হাতে ক্ষমতা। কিন্তু জাতির প্রশ্নের উত্তর কোথায়?
কোন দুর্নীতিবাজ জবাবদিহির আওতায় এসেছে? দুর্নীতি দমন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি কতটা বেড়েছে?বিচারহীনতার সংস্কৃতি কি শেষ হয়েছে?
জনগণের অধিকার রক্ষায় কোন বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে?
অঙ্গীকার ছিল পরিবর্তনের—কিন্তু কি বদলেছে?
এখন মহাজন ইউনূস ধীরে ধীরে বলা শুরু করেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে খারাপ হবে! তা সংস্কারটা কিসের হবে?
চোর বাটপার তো চেয়ারেই বসে আছে!
জাতি জানতে চায়—এক বছরে আপনারা দেশকে কী উপহার দিয়েছেন, আর কী নিয়ে গেছেন?
আসিফ থেকে শুরু করে উপদেষ্টাদের চাঁদাবাজি, অবৈধ আয়ের পথ তো ফাঁস হয়ে গেছে! সেগুলো এখন আর কারো অজানা নয়!
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া রিয়াদকে দিয়ে কিভাবে চাঁদাবাজি করতো তার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণ দিয়ে ভিডিও বার্তায় প্রকাশ করে দিয়েছে জানে আলম অপু।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কাঙ্গাল থেকে হঠাৎ করে কোটিপতি কিভাবে হয়ে গেল সে রহস্য উন্মোচন করে দিল জানে আলম অপু ।
হাওয়াই চটি থেকে কীভাবে দামি দামি জুতো পরে কার্যালয় পর্যন্ত এসেছে তার হিসাব জনগণ জানে।
বিগত ৬-৭ মাস ধরে অনবরত এই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তার দল এনসিপির নেতারা যে পরিমাণ দুর্নীতি, দুঃশাসন ,চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য , মব সৃষ্টি করা কিভাবে মানুষ থেকে চাঁদা আদায় করত তা আলম অপু ভিডিও বার্তায় প্রকাশ করে দিয়েছে।
জানে আলম অপুর ভাষ্যমতে এই সরকারের কাছে কোন রকম সে বিচার পাবে না।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ডান হাত হিসাবে কাজ করত রিয়াদ নামের ছেলেটি।
এমনকি এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও ডান হাত হিসেবে কাজ করতো এই রিয়াদ নামের চাঁদাবাজ ছেলেটা।
কী বলবেন? কাকে বলবেন? এই দুনীতিবাজরা তো দখল করে বসে আছে সব!
আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছে উম্মে ফাতেমা নামে এক মহিলা।
রিয়াদ যখন গুলশান থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়লো তখন এই সাবেক এনসিপি নেত্রী উম্মে ফাতেমা বলেছিল এই ছেলের শিকড় অনেক গভীরে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং পর্যায়ক্রমে সব সরকারি কর্মকর্তার আয় ও সম্পদ জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন।
তার নেতৃত্বে এ জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নও করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পার হওয়ার পরও উপদেষ্টাদের কারও সম্পদ ও আয় প্রকাশ করা হয়নি।
কারো হিসাবের খবর নেই। ইউনূস তো নিজেই ঢাল হয়ে বসে আছেন!
দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “যদি সম্পদের তথ্য প্রকাশ করা না হয়, তাহলে প্রশ্ন থাকে কেন লুকানো হচ্ছে এবং কি লুকানোর কিছু আছে।”