রংপুর: বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমানদের সাথে হিন্দুরা বসবাস করতে পারবে না। ৭১ এও পারেনি, এখন তো ৭১ থেকেও ভয়াবহ অবস্থা!
ইউনূস আর তার জঙ্গী বাহিনী সনাতনীদের উপর যেরকম নির্যাতন শুরু করেছেন, তাতে বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হতে আর খুব দেরি নেই।
বাংলাদেশের অন্ধ মুসলমানরা তো তাই চায়। এগুলো তো কোনো রাজনৈতিক হত্যা, হামলা না। এগুলো সাম্প্রদায়িক। শুধু হিন্দু বিদ্বেষী বলেই মুসলমানদের দাঁড়া এই আক্রমণগুলো সংঘটিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসলাম অবমাননার মিথ্যা ফাঁদ তৈরি করে প্রথমে ২০ টি হিন্দু ঘর ভাঙচুর করে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও আইন প্রশাসনের উপস্থিতিতে আরো ১০ টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে জঙ্গীরা।
পাশাপাশি মা-বোনদের ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে সন্ত্রাসীরা।
নিরীহ হিন্দুরা গ্রাম ছেড়ে অজানা উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছেন আতঙ্কে।
রংপুর জেলা গঙ্গাচড়া উপজেলার আলদাদপুর গ্রামে দুই দিনের হামলার পর ২৮ জুলাই সকাল থেকে গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ঘরের মালামাল অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন।
হামলার শিকার পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড। আতঙ্কে পরিবারগুলো গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও অন্য মালামাল ভ্যানে করে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে গরু, ছাগল ও ধান বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
কমলাকান্ত রায় বলেন , তাঁরা সারা রাত ঘুমাননি। সকাল থেকে বাড়ির মালপত্র সরাচ্ছেন। ১০-১২ মণ ধান ছিল। সেগুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন।
হামলার শিকার পরিবারগুলো বলছে, বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি তাদের মালামাল লুট হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ রায় নামের একজন বলেন, তাঁর স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণ, কাপড়-চোপড় ও জমির কাগজপত্র লুট হয়েছে।
জমি লুটপাট, নারী লুটের জন্যেই তো আক্রমণ হয়। এরা তো সবাইকে গণিমতের মাল ভেবে বসে আছে। আর রাষ্ট্র তাদের সহায়তা দিচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী রোহেলা রানীর বলেন, যদি আবার আগুন দেয়, তবে আর কিছু থাকবে না। কাঁথা-বালিশ, তোশক—সব তাঁর ভাই নিয়ে গেছে।
সুবাস রায় বলছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই রোববার আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, তারা কিচ্ছু করতে পারেনি। ফের যদি হামলা হয়! সে কারণে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন অনেকে।’
আসলে এই অত্যাচার আর কত সহ্য করবে হিন্দুরা। প্রতিবাদ হয়, এটা হয়, সেটা হয় সমাধান আর কবে হবে?
রংপুরের ঘটনা আবারো প্রমাণ করলো বাংলাদেশে হিন্দুরা মুসলমানের সাথে থাকতে পারবে না!
মানুষ আতঙ্কে একাত্তরের মত গ্রামছাড়া হচ্ছে। একাত্তরে ১০০% হিন্দুবাড়ী লুট হয়েছিলো। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা সবার আমলে লুটপাট হয়েছে।