ঢাকা: জুলাই দাঙ্গায় যেসব নারী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারাই এখন নতুন যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছেন।
এই নারী পুরুষ, কিংবা ছাত্রদের ভুলিয়ে ভালিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করা হয়েছে। তার প্রমাণ দেশের অবস্থা দেখে এরা পেয়ে গেছেন।
এই নারীদের ঘরে আটকে রাখতে উগ্রবাদী গোষ্ঠী দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ তাদের নিজেদেরই। নারীর প্রতি সহিংসতা, অবমাননা বেড়েই চলেছে। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে নারীই উল্টো আসামি হচ্ছেন।
এই রাজাকারের দল, নারীবিরোধীরা এখন নিজেদের লালসা পূরণ করছে।
নারীর অবমাননাকারীদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধা নারীরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হচ্ছে।
জুলাই নারীদের অভিযোগ, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাদের সহযোদ্ধারা এখন অশুভ শক্তি, উগ্রবাদীদের সঙ্গে আপোস করছে। তারা নিজেরাই স্বীকার করছে এখন এই কথা।
অর্ধেক ছাত্র আর অর্ধেক ছাত্রীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় মেয়েরা যেমন পিছিয়ে, তেমনি ছাত্রী হলেও তারা পুরোপুরি সক্রিয় নয়।
তা বৈষম্যহীন আন্দোলন থেকে উঠে আসাদের এমন বৈষম্য কেন?
জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই হচ্ছে ছাত্র। দেখা গেছে, ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জনের প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থী নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।
মেয়েদের দূরে রাখা হয়েছে, তাছাড়াও মেয়েরা এইসব ষড়যন্ত্রে আর আসতে চায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জাকসু নির্বাচন না হওয়ায় এর গুরুত্ব নারী শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়নি। গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে মূলধারার রাজনীতিতে নারীরা ব্যাপকভাবে কটূক্তি ও তাদের শরীর নিয়ে বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন।
এমনকি সিনিয়র নারী রাজনীতিবিদরাও অনলাইনে হয়রানির মুখে পড়েছেন, যা অনেক তরুণীকে ব্যথিত করেছে; তাদের রাজনীতি-নির্বাচন এসবে অংশগ্রহণ থেকে নিরুৎসাহিত করেছে।”