ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাক শিল্প, এই পোশাক উৎপাদনকারী শতাধিক স্বনামধন্য গার্মেন্টস একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে ইউনূসের শাসনকালে।
ইউনুস এই দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করতে এসেছে।
নিজের সুদ কারবারি মনোভাব সব জায়গায় বজায় রেখে দেশ চালানোর চিন্তা করছেন আর দেশের মেরুদণ্ড ভাঙছেন।
অবৈধ ইউনুস সরকার আসার পর দেখা যাচ্ছে ভারত যে সুবিধাগুলো বাতিল করছে এতে শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি হচ্ছে।
গার্মেন্টস পণ্যর ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় বাংলাদেশের বছরে ২ হাজার কোটি টাকা লস।
বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্টস এর শ্রমিকদের বেশিরভাগের কোন চাকরি জোটেনি। এদের প্রায় সবাই গ্রামে ফিরে গেছে।
জনপ্রতি ২৫-৩০ হাজার আয় করা শ্রমিকরা এখন তরিতরকারি বিক্রি করছেন, কেউ কেউ দিনমজুর হয়েছেন, নারীরা ঘরে বসে গেছেন, বেকার।নারী নির্যাতন বাড়ছে।
অথচ উপদেষ্টারা ঘুম।
এই অর্থনৈতিক দৈন্যদশা হয়েছে শুধু দখলদার ইউনূসের জন্য।
পোশাক কারখানাগুলো তো বন্ধ। আর যেগুলো জীবিত আছে সেগুলোতেও শ্রমিকের বেতন নেই।
তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে ক্লিয়ানি নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন।
ইউনূসের জন্য তো শ্রমিকরা পেটে গামছা বেঁধে থাকতে পারবেন না।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে নগরের চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার বেপজা অফিস ঘেরাও করা হয়।
এর আগেও তারা আন্দোলন করেছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপার মো. জসীম বলেছেন, ‘দুই-তিন মাসের বেতন বকেয়া রাখায় ক্লিয়ানি নামে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোলন করে।
তারা আগেও একবার আন্দোলন করেছিল। গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষ বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তা না দেওয়ায় তারা আজকে (সোমবার) আবার আন্দোলন করছে।
এসময় তারা বেপজা অফিস ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা মোতায়েন করা হয়েছে।’
শ্রমিকদের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্ষুধায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
আন্দোলনে তাঁরা নামতে চাননি কিন্তু উপায় না পেয়ে নেমেছেন।