গাজীপুর: সমস্যা একদিকের নয়, দশদিকজুড়ে বাংলাদেশে সমস্যা শুরু হয়েছে একটাই তারিখ ৫ আগস্টের পর!
শ্রমিকদের খাটানো হচ্ছে, কিন্তু টাকা দেয়া হচ্ছে না। এই টাকায় তাদের সংসার চলে,এক মাস বেতন না দিলে তারা না খেয়ে থাকবে বাকিতে খাওয়া দোকানগুলো তাদেরকে কোন বাকি দেবে না।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে পুলিশ এদের উপর খড়্গহস্ত হয়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গাজীপুর ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শত শ্রমিক।
বিক্ষোভের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্থানীয় আরএকে সিরামিক কারখানার কয়েক’শ শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
তবে এই প্রতিবাদ ন্যায়সঙ্গত। তবে জানা যাচ্ছে কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ চেয়েছে তারা। একজন আসিফ নজরুল তো ২৬ লক্ষ ভারতীয়র খোঁজ দিতে পারলেন না, এখন এরাও একই কথা বলছে।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে- চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বেতনের সঙ্গে ইনক্রিমেন্টের ৭ মাসের এরিয়ার বিল অগাস্ট মাসের ১ তারিখের মধ্যে দিতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক পদে সঠিক কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে, প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মানসম্মত বাড়তি বেতন নিশ্চিত করতে হবে, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলনরত অবস্থায় শ্রমিকরা যতদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবে ততদিন কার্যদিবস বা হাজিরা দিতে হবে।