ঢাকা: ঘনঘন বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। নাভিঃশ্বাস ওঠা শুরু হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশের দোলাচল পরিস্থিতি। তার মাঝেই এবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেন মহম্মদ ইউনূস।সেনার সঙ্গে মতবিরোধ এবং নির্বাচনে চাপের জন্যই গদি টলমল মুহাম্মদ ইউনূসের।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় শুরু হওয়া বৈঠকে ১১টি দলের একজন করে প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এবং এদিনই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বিভিন্ন দলের ৯ নেতার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
প্রথম দফার বৈঠকে রয়েছেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্য’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া (মঞ্জু), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাবেক আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
আর সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ৯ নেতার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। থাকছেন ইসলামি বক্তা সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকার পরই মহম্মদ ইউনূস বলেছেন যে তিনি আর প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকতে চান না। তবে পদে থাকতে না চাইলেও তিনি পদে থাকতে চান। বলা হচ্ছে এমনটাই। বিগত নয় মাসে যে কাজ তাঁর করার কথা ছিলো, তাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।