ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুক্রবার, ১৩ জুন লন্ডনে বৈঠকে বসতে চলেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে।
ভোটের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিএনপির মধ্যে আদায় কাঁচকলায় চলছে।
উল্লেখযোগ্য যে, সোমবার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার আগে, গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ঈদুল আজহার ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি এপ্রিলের কথায় নারাজ। বিএনপি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে অনড়।
এই পরিস্থিতিতে এবার তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে বসছেন ইউনূস।
বিএনপির আর এক শীর্ষনেতা তথা দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি।
সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।
আমরা মনে করি, সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎটা হওয়া জরুরি।
এই বৈঠক রাজনৈতিক শিষ্টাচারেরও অংশ। এই সাক্ষাৎ না হলে নিন্দুকেরা বিরূপ সমালোচনার সুযোগ নিতে পারত।’
এদিকে খালেদা জিয়ার ইউনূস সম্পর্কে সুমিষ্ট মন্তব্য অন্যরকম ঠেকছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনও ধরনের বিরোধে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করার পরামর্শ দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গত ৭ জুন ঈদুল আজহার দিন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাদেরকে এই পরামর্শ দেন তিনি।
খালেদা জিয়া হঠাৎ ইউনুসের প্রতি সদয় হলেন! যা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে।