ঢাকা: আসলে বলতে গেলে বাংলাদেশে একটা নির্লজ্জ তামাশা চলছে—নিয়মতান্ত্রিকতার মুখোশে, অবৈধতার মহড়া।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বসে আছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এখন বাংলাদেশকে কেউ ঋণ দিচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বহু বছর ধরেই বাংলাদেশে বিপুল অর্থ প্রবাহিত করে এসেছে। তাহলে এখন কেনো তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? কারণ তারা জানে, এই সরকার টেকসই নয়।
কিছু নীতি রয়েছে। তারমধ্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সবচেয়ে মৌলিক নীতিগুলোর একটি হলো—নাগরিক-সমর্থনহীন সরকারের সঙ্গে বড় চুক্তি করা ঝুঁকিপূর্ণ।
তাই হয়েছে ইউনূস সরকারের ক্ষেত্রে। চীন, কাতার, আরব আমিরাত কেউ টাকা দেয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে না।
এখন জাপানের কথাই ইউনূসের মুখে। ইউনূসের কথায় আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ থেকে জাপানে এক লাখ কর্মী যাবে এই শিরোনাম শুনে অনেকেই আশা করছেন। কিন্তু এবার এই ‘স্বপ্নের প্রচারণা’ এক ভয়াবহ প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেছে, যার মূলনায়ক হলেন ইউনুস।
সম্প্রতি টোকিও সফরের সময় যে চুক্তিটি আলোচনায় এসেছে, সেটি হয়েছে তাহমিদ মইন নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
কিন্তু এই তাহমিদ মইন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (JBCCI) থেকে প্রতারণার অভিযোগে বহিষ্কৃত। তার বিরুদ্ধে জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
জাপানের সরকারি বাণিজ্য সংস্থা JETRO এই বিষয়ে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাহমিদ মইনের এই অতীত জানার পরেও যে ব্যক্তি তার সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তিনি ড. ইউনুস।
এবং তিনি এখন নিজস্ব লাইসেন্সে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি খুলেছেন, যা এখন তার নতুন ‘সংস্কার’ মডেল! অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় সফরের পয়সায় গিয়ে নিজস্ব ব্যবসার সুবিধার্থে এক বহিষ্কৃত প্রতারকের সঙ্গে চুক্তি করে আদম ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিচ্ছেন তিনি।
অর্থের হিসেব তিনি খুব ভালো বোঝেন। কারণ তিনি তো সুদ ব্যবসায়ী ছিলেন!
JBCCI-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক কর্মকর্তা সাঈদ আরমান বলেন, “তাহমিদ একজন প্রতারক। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে JBCCI থেকে বহিষ্কার করেছিলাম।”
প্রতারকের সাথে এই দহরম মহরম কেন? জাপানি দূতাবাসের উদ্বেগ ও আপত্তি স্পষ্ট। তারা মনে করছে, এ ধরনের প্রতারণামূলক চুক্তি জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
প্রশ্ন উঠেছে একজন নোবেল বিজয়ী কীভাবে এমন এক প্রতারক চক্রের অংশীদার হয়ে উঠলেন?
দেশীয় স্বার্থে মুহাম্মদ ইউনূস কোনো কাজ করছেন না। যা করছেন সব নিজের জন্য।
দেখি এই ৯ মাসের বাংলাদেশ –
* শান্তি শৃংখলা হারিয়ে মবের রাজ্যে পরিনত হয়েছে।
* তিন হাজার ৩৩ জন পুলিশ সদস্য হত্যা
* ৬২২টি থানায় আগুন, ৭৮ হাজার অস্ত্র লুট
* গণ ভবন , সংসদ ভবন থেকে সেনাবাহিনী ও এসএসএফের ৫ হাজার আধুনিক অস্ত্র লুট
* ৫ আগস্টের পরে গণহত্যা চালিয়েছে লীগের উপর, ৪ হাজার ৮ শত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হত্যা।
* ধর্ষণের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে
* হিন্দুদের হত্যা নির্যাতন।
* শিক্ষকদের অপমান অপদস্ত করেছে,
* সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা সারাদেশে ১৮ হাজার , মন্দির ভাংচুর ১২ শত ইত্যাদি।