চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি এই বন্দর দিয়েই সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নির্ভর করে এই বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও স্থিতিশীলতার ওপর।

তাই এর পরিচালনা, নিরাপত্তা ও নীতিনির্ধারণের প্রশ্নে রাষ্ট্রের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা জরুরি।

কিন্তু তা কোথায় হচ্ছে? চট্টগ্রাম বন্দর এখন জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়েছে।

বিশ্বের বহু দেশ কৌশলগত অবকাঠামো বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দিয়ে পরবর্তীতে ভয়াবহ সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু এসব থেকে শিক্ষা নেয়ার বয়স ইউনূসের নয়। তিনি বয়োবৃদ্ধ, তিনি কেবল পকেট মোটা করা বোঝেন।

আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনাল আন্তর্জাতিক দরপত্র ছাড়াই বিদেশি অপারেটরের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। অতীতে বিদেশি শক্তি এই বন্দর দখল করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজও একই চক্রান্ত চলছে।

উন্নয়নের ধোঁয়া তুলে বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমরা উন্নয়ন চাই, তবে সেই উন্নয়ন যেন কখনো দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে।’

বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার হরণ করেছে। শ্রমিকরা এই বন্দরের সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি, অথচ তাদের ওপর চালানো হচ্ছে জুলুম ও নির্যাতন। আমরা অবিলম্বে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই।’

তিনি আরও দাবি করেন, শ্রমিকদের সিবিএ নির্বাচন, সভা–সমাবেশের অধিকার, ন্যায্য মজুরি ও ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *