ঢাকা: আমেরিকার শুল্কে বাংলাদেশের ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়ে গেছে। হবার কথাই। কারণ তিন মাস ধরে আলোচনার পর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখল আমেরিকা ।

কেন এদের দালালি করে কিছুই
অর্জন করতে পারলেন না ইউনূস ?

দখলদার সাহেব তো ভেবেছিলেন কিনে ফেলেছেন আমেরিকা! আসলে ঐ দেশ কেনা‌ যায় না। ট্রাম্প এক চালেই দেখিয়ে দিলেন। এবং ইউনূস এখন কাঁপছেন।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত, যা দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৪%। এর মধ্যে প্রায় ২০% পোশাক পণ্য শুধু আমেরিকাতেই রপ্তানি হয়।

এখন যদি এই পণ্যের ওপর ৩৫% শুল্ক আরোপ হয়, তাহলে পোশাকের দাম আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এর ফলে আমেরিকান ক্রেতারা সহজেই বিকল্প দেশ, যেমন ভিয়েতনাম বা মেক্সিকো থেকে পণ্য নিতে আগ্রহী হবে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১০% কম রপ্তানি হওয়া খুব বড় কথা নয়।

এবং সাথে সাথে শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকিতে পড়ে যাবে।

বেকারত্ব বাড়বে, ফলে নিম্নআয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠবে।

সবদিক থেকে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ ইউনূসের শাসনে।

যদিও বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তবে এই অবস্থায় নিজেকে, দেশবাসীকে সান্ত্বনা দিয়ে আর লাভ নেই। কারণ অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে এই অন্তর্বর্তী সরকার আগেই।

তিনি বলেছেন, ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে।

আগামীকাল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে কালকে খুব ভোরবেলা।

মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারবো। কারণ, যেটা দিয়েছে, সেটা ঠিক অফিসিয়াল।

তবে কতটুকু কী হবে, তা জানা নেই। তবে ট্রাম্পের হুমকিতে এখন ইউনূস কাঁপছে এটা‌ স্পষ্ট।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *