ঢাকা: বাংলাদেশ ভারতের ওপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্ভরশীল । এবং ভারতও ব্যবসায়িক দিক থেকে কিংবা মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশকে সাহায্য করে আসছে।
ভারতের কাছে বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত রয়েছে।ভারতের বিদ্যুৎ এ কাজ চালিয়েও বকেয়া অর্থ দিতে পারছিল না ইউনূস সরকার। প্রচুর অর্থ বকেয়া হয়ে গেছে ভারতের কাছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বকেয়া মেটানো নিয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গৌতম আদানির সংস্থা। তাদের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল, বকেয়া টাকা ধীরে মেটাচ্ছে বাংলাদেশ। টাকা পুরোপুরি ভাবে না এলে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অবশেষে কাজ হয়েছে।
বাংলাদেশ বকেয়া টাকা পরিশোধ করে দেবে বলে আশাবাদী ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Power)।
বিদ্যুতের জন্য আদানি গোষ্ঠীর (Adani Power) কাছে যতটুকু ধার ছিল, তা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ অনেকটাই হাল্কা হয়েছে এখন বাংলাদেশ এই ব্যাপারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বকেয়া সেই অর্থ তাঁরা আদায় করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন আদানির আধিকারিক। বাংলাদেশের কাছে পাওনা অর্থের পুরোটাই আদায় করতে পারবেন বলে আশাবাদী আদানি পাওয়ার। পাওনা আদায়ের ব্যাপারে চাপ দিতেও হয়েছে বাংলাদেশকে। এবং গত বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিল কোম্পানি। সেই সময় বাংলাদেশ মারাত্মক বিপদের মুখে পড়ে যায়।
কোম্পানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলীপ ঝাঁ বলছেন, এখন তাঁরা সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। মাসিক বিলের সঙ্গে কিছু বকেয়া পরিশোধ হওয়ায় তাঁরা এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎ দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে আমরা সক্ষমতার পুরোটা সরবরাহ করছি। এখন আমরা যে অর্থ পাচ্ছি, তা মাসিক বিলের চেয়ে বেশি। আমরা আশাবাদী যে, শুধু চলতি মাসের বিলের সমান অর্থ নয়, এর সঙ্গে পুরনো বকেয়াও পরিশোধ করা হবে।”
আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের বকেয়া নিয়ে বলছে, প্রায় ২০০ কোটি ডলারের মধ্যে বাংলাদেশ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। বাকি বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।