ঢাকা: দেশের বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দিয়ে ব্যবসা করানো মানে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া।
বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইউনূস আসার পর যা অবস্থা দেশের!
দীর্ঘদিন ধরে এফডিআইয়ে গতি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে।
গত অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ৯১ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) ছিল ১২৭ কোটি ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ১৪১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।
অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা সরকার বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাইছে।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগে চীনা ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
তবে বিনিয়োগ বাংলাদেশ খুঁজছে। কারণ এখন আর গতি নেই।
চিহ্নিত খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তৈরি পোশাক (আরএমজি), স্বাস্থ্যসেবা ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস।
চিনা বিনিয়োগকারীরা মোটামুটি একটু আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে নির্বাচিত সরকার আসার আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে এরা ভরসায় নিচ্ছে না।
চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে ২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কিছুটা প্রকাশ করেন চীনা বিনিয়োগকারীরা।
বিডা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
২১ জুলাই সাংহাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিডার যৌথ আয়োজনে একটি বিনিয়োগ সেমিনারে শতাধিক চীনা বিনিয়োগকারী অংশ নেন।
বিনিয়োগ সেমিনারের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ২৫টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেয়।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলোর ইতিবাচক সাড়া আমাদের উৎসাহিত করেছে।’
তবে কাজ হলে বোঝা যাবে এই আগ্রহের বাস্তবতা কতটুকু?