চট্টগ্রাম: কার্যকর হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাত ১২টার পর থেকে বন্দরে আগত সব জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিল নতুন হারে আদায় করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে নতুন করে বাড়ছে মাশুল। এর ফলে বাড়বে ব্যয়, ঝুঁকিতে পড়বে আমদানি-রপ্তানি। ইউনূসের আমলে দেশ কোনোদিকেই লাভের মুখ দেখলো না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বাড়তি অর্থ আয়ের জন্য আমদানি-রপ্তানি খাতকে ঝুঁকিতে ফেলছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই আবারও বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। ৩৯ বছর পর মাশুলের হার বাড়ানো হয়েছে; যা মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
এটি কোনোভাবেই উপকার করা হলো না। সরকার একভাবে ভাবছে, তবে সেই ভাবনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ফাইয়াজ খন্দকার বলেন, মাশুল বাড়ানোর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি অপারেটররা যেহেতু বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনা করছে, স্বাভাবিকভাবে তারা চাইবে ট্যারিফ বাড়িয়ে দেওয়া হোক।
আমদানি-রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেটি আমলে নেওয়া হয়নি। এজন্য আমরা চাই, এ ধরনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বন্দরের তালিকাভুক্ত সব শিপিং এজেন্টকে তফসিলি ব্যাংকে নতুন হারে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রেখে আসা জাহাজের ছাড়পত্র (এনওসি) নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে বন্দরের মোট ৫২টি সেবাখাতের মধ্যে ২৩টিতে সরাসরি নতুন ট্যারিফ প্রযোজ্য হচ্ছে। গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ট্যারিফ।
প্রতি ২০ ফুটি কন্টেনারের ট্যারিফ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা অর্থাৎ গড়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি। আমদানি কন্টেনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কন্টেনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
