ঢাকা: সারা বাংলাদেশে নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষের জন্যও শহরাঞ্চলে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য তিনটি বিক্রি করা হবে। তবে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম কার্ডধারীদের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা, চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

আগে যেখানে টিসিবির কার্ডধারীদের কাছে ১০০ টাকা লিটারে তেল বিক্রি করা হতো সেটা এখন ১৩৫ টাকা, ডালের দাম ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা ও চিনির দাম ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করা হয়েছে।

একদিকে ৫০ লক্ষ টিসিবি কার্ড বাতিল করে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে৷ অন্যদিকে বহু মানুষ কার্ডের জন্য হন্যে হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।

ভর্তুকী মূল্যে টিসিবির ট্রাক সেল বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল৷ এখন আবার অল্প কয়েকদিনের জন্য চালু হবে। আবার সেটা তেল, ডাল, চিনির দাম অস্বাভাবিক বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে। প্রতি লিটার তেল ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এমনিতেই ৫০ লক্ষ টিসিবি কার্ড বাতিল করে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে৷ এখন আবার এক লাফে ভর্তুকী কমিয়ে দিয়ে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দরিদ্র্য নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতি দায় থাকলে সরকার এমন পদক্ষেপ নিতে পারতো না। বলছেন সাধারণ জনগণ।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে ট্রাকে করে নির্ধারিত তিনটি ভোগ্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। তবে প্রতিটি পণ্যের মূল্য ২০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভোক্তারা।

দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এসেছে, যখন দেশে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণী অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। অনেকে দৈনন্দিন খরচ চালাতে ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় তেলের দামে ৩৫ টাকার লাফ, ডাল-চিনির মূল্যবৃদ্ধি এসব পরিবারের জন্য কঠিন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।টিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার ভর্তুকির টাকা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *