ঢাকা: দেড় বছরে দেশটা খুবলে খেয়ে ফেলেছে ইউনূস গং। সারমর্ম কিছু নেই।

দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র রপ্তানি খাত অনিশ্চয়তার কবলে পড়েছে। পোশাক কারখানা তো অধিকাংশ বন্ধ। আর আগুন লাগিয়ে বাকিগুলোও ধ্বংসের কবলে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রেতাদের আস্থার সংকট আর সাথে বিভ্রান্তিকর সরকারি বার্তা—সব মিলিয়ে বড় ক্রেতারা কার্যাদেশ দেওয়া থেকে সরে যাচ্ছে।

দেশটায় কোনো পজিটিভ বাতাস নেই। কমপ্লায়েন্স বা নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা হুট করে বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।

এদিকে ডাস্টবিন শফিক তো আশ্চর্যজনক কথা বলেছেন। তাঁর কাছে এগুলো কোনো ব্যাপার নয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নন-কমপ্লায়েন্স কারখানা বন্ধ হওয়া খারাপ কিছু নয়।’ তাঁর মতে, এটি শিল্পের সুষ্ঠু ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

তবে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত পোশাকশিল্পে নেতিবাচক ও জটিল প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রকাশিত সর্বশেষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে রপ্তানির নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। এ তো মারাত্মক অবস্থা দেশের।

অক্টোবর মাসটিতে রপ্তানি কমেছে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৭ শতাংশেরও বেশি।

এতে দেখা যায়, রপ্তানি কম হয়েছে ৫১ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ছয় হাজার ১২০ কোটি টাকার মতো। গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয় ৪১৩ কোটি ডলারের পণ্য। গেল অক্টোবরে তা ৩৬২ কোটি ডলারে নেমে এলো। এ নিয়ে রপ্তানি কমল টানা তিন মাস।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে অন্তত ২৫৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এক লাখের বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এগুলো হচ্ছে ইউনূসের সংস্কারের নমুনা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *