ঢাকা: শেখ হাসিনার দুর্নীতির রেকর্ড নেই, রাশিয়ান দূতাবাসের পর এবার ইউনুসের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জবাব দিলো স্বয়ং বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অনুসন্ধানী কমিটি। এমনটাই জানা গেলো।

ভারতের খ্যাতনামা শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি পায়নি স্বয়ং বিদ্যুৎ বিভাগ।

নোবেল লরিয়েট ড. মুহম্মদ ইউনুস ইসলামী উগ্রপন্থী ও দেশি- বিদেশী চক্রান্তের মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ বিধান ২০১৫ বাতিল করে।

এতে অভিযোগ ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার বিনা দরপত্রে চুক্তির মাধ্যমে বিপুল দুর্নীতি করেছে। এমনকি, দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়টিও চুক্তিতে উপেক্ষিত বলে সমালোচনা ওঠে।

অথচ প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, ডেইলি স্টারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই নিয়মিত ফরমায়েশি প্রতিবেদন ও কলাম ছাপানো হয়েছে।

যাতে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় করা এই চুক্তিতে নানা অসামঞ্জস্য এবং দুর্নীতি হয়েছে, চুক্তিটি দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, এখানে ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার… ইত্যাদি।

চুক্তি নিয়ে নানারকম ভিত্তিহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচার করা হয়েছিল গণমাধ্যমে, যা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।

ড. ইউনূসের ক্ষমতা দখলের পর নানা মহলের আলোচনার মধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়ালে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ ৩ দফা নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এরই ধারাবাহিকতায় আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সব নথি ও প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতে।

এছাড়া এই চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতিরও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসারেই প্রতিবেদনটি দাখিল করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

(আদানির সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে দুর্নীতি বা অনিয়ম ঘটেনি: হাইকোর্ট; বিডিডাইজেস্ট, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫)

এছাড়াও ইউনুসের প্রোপাগান্ডা সেল জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ববি হাজ্জাজ আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ মঙ্গলবার রিটটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

(রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট, প্রথম আলো, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪)

এরপর ঢাকাস্থ রুশ দুতাবাস সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির দাবিটি ভুয়া বলে একটি বিবৃতি দেয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম।

২০২৪ এর ১১ সে‌প্টেম্বর রোসাট‌মের বরাত দি‌য়ে ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দা‌বি করা হ‌য়েছে।

এতে বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

(রূপপুর প্রকল্পকে ঘিরে মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে: রাশিয়ার বিবৃতি ; বাংলা ট্রিবিউন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)

এভাবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হাজারও মিথ্যা অভিযোগ রটানো হয়েছে।

তাই আওয়ামীলীগের দাবি, শুধু মাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্যে নিবেদিত সৎ নিষ্ঠাবান ও দুর্নীতি বিমুখ অন্যায়ের সাথে আপোষহীন একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *