ঢাকা: বাংলাদেশ শুল্ক চাপে পড়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরের অবস্থা খুবই খারাপ। রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ ফ্ল্যাট শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্কের ফলে দেশের বাণিজ্যে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে কঠিন সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী গড় শুল্ক ১৫% সহ যোগ হলে মোট শুল্ক ৫০% এর বেশি হবার কথা।
বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি। এত চাপে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ পড়েনি। ইউনূস ধ্বংসের পথে নিয়েছেন বাংলাদেশকে।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০% আসে পোশাক শিল্প থেকে এবং প্রায় ৪০ লাখ লোক এই খাতে জড়িত রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ নারী।
শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পাবে। শুধু তাই নয় , বহু মানুষের কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে। বেকার হয়ে যাবে শ্রমিকরা।
এই শুল্ক নিয়ে বাণিজ্যসচিব আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কখনো এ ধরনের বেকায়দায় পড়েনি। এ ধরনের পাল্টা শুল্কের ইতিহাস আগে কখনো নেই।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র যে শর্ত দিয়েছে, তাতে বিষয়টি শুধুমাত্র বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটা অনেকটা নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে এটা শোনা যাচ্ছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমানো বা চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, সামরিক সহায়তা কমানোর মতো শর্ত থাকতে পারে।