ঢাকা: আশ্চর্য থেকেও আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। সব জেনে, শুনেও জনগণ মুখ খুলতে পারছে না।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত অবস্থায় থাকা স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে অত্যাধুনিক মডেলের প্রায় ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র চুরি হয়ে গেছে!

এ কী কাণ্ড রে বাবা! আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী কোথায়? সেখানে যদি এই অবস্থা ঘটছে তাহলে একটা আম আদমির কী অবস্থা বর্তমান বাংলাদেশে ভেবে দেখুন!

এ কী আসলেই চুরি? নাকি অস্ত্র গুলো আসিফ মাহমুদ তাঁর বাহিনীরদের জন্য নিয়ে গেছে?

কারণ এই মুহূর্তে আসিফ মাহমুদ ভীষণ চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।

দেশের জনগণের টাকায় গঠিত হচ্ছে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার বাহিনী। প্রথম ধাপে প্রায় ৮ হাজার জনকে অস্ত্র ট্রেনিং দেবে এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

দেশের সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে কার বিরুদ্ধে আসিফ মাহমুদ যুদ্ধ করবে?

যদিও ইতিপূর্বে আসিফ মাহমুদ বলেছে ৫ আগস্ট সফল না হলে অস্ত্র হাতে তুলে নিত এবং তাদের সেই প্রস্তুতি ছিলো। জনমনে প্রশ্ন তবে কি জুলাই আন্দোলনে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে?

এই বাহিনী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, তোলপাড় দেশ। জনগণের ঘুম উড়েছে স্বাভাবিকভাবেই!

বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি, এই ঘটনা একটা শিশুকে বললেও বিশ্বাস করবে না। বিমানবন্দরে এতবড় চুরি কী কোনো যোগসাজশ ছাড়া?

জানা গেলো, এ নিয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ।

তবে আগুন লাগলেও প্রায় অক্ষত ছিল কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুমের ভল্টে রাখা জিনিসপত্র। আগুন নেভানোর পর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ওই স্ট্রংরুম সিলগালা করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, ওই স্ট্রংরুমের ভল্টে মূল্যবান জিনিস, আমদানির কাগজপত্র, শুল্কসংক্রান্ত নথি, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিল, সোনা, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়।

কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা স্ট্রংরুম থেকে পণ্য-নথি বের করতে হলে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভল্টের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তাহলে এতবড় দায়িত্ব তারা এড়িয়ে গেলেন কীভাবে?

বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেন।

তারা স্ট্রংরুমের আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভল্টের লক খোলা অবস্থায় এবং ট্রাংক ভাঙা দেখেন।

জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জামসহ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।

হীরা, সোনা বাদ‌ দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র চুরি তো খেলা কথা না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *