ঢাকা: ক্যাঙ্গারু রায় মেনে নেবে না জনগণ, পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন জামাতির দখলে। তাই এর রায় বর্জন করেছে দেশবাসী।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ রায় ঘোষণা করবেন। অপর দুইজন সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আর আজ সাজা হলে আপিলের সুযোগ নেই বলে জানা গেলো।
ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেছেন, শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পলাতক থাকায় সাজার পরও তারা আপিল করতে পারবেন না।
ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দাখিল করা যায়—তবে আপিলের অধিকার পেতে হলে আসামিকে অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হতে হবে।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের আপিলের সুযোগ নেই। আপিল করতে চাইলে তাদের আদালতের হেফাজতে আসতে হবে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার নাম নিতে গিয়ে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নাম নেয়া ষড়যন্ত্রকারী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার ফাঁসি চান।
শেখ হাসিনার অপরাধের জন্য তাঁকে ‘হাজারবার ফাঁসি দিলেও কম হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই জঙ্গী আন্দোলনে নিহত মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
স্নিগ্ধ বলেন, শেখ হাসিনার অন্যায়-অপরাধের বিচার বাস্তবে ৫ আগস্টেই হয়ে গেছে। আদালতের আনুষ্ঠানিক রায়ের কপি প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। তবে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য যদি তাকে হাজারবারও ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটাও যথেষ্ট হবে না।
তিনি আরও বলেন, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবার এবং গত ১৭ বছর ধরে ভুক্তভোগীদের একমাত্র প্রত্যাশা শেখ হাসিনার সাজা বাস্তবায়ন।
