ঢাকা: দেশ অস্থির! যেদিকে তাকানো যায় কেবল রক্ত।
এবার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বেসরকারি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষ বলতে যেই সেই সংঘর্ষ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে অন্তত ১৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার খাগান এলাকায় বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সিটি ইউনিভার্সিটির।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের একদম নীরব ভূমিকা দেখা গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা মিলে একটি বাড়িতে থাকেন।
সেটি ‘ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেল’ নামে পরিচিত। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই বাসার সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর শরীরে লাগে।
এই নিয়েই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এবং সেটাই এতবড় ঘটনায় পরিণত হয়।
রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
তবে শিক্ষার্থীদের কাছে এইসব অস্ত্র আসলো কোত্থেকে? সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দেখা যায়, রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করে। এমনকি তারা প্রশাসনিক ভবনে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেটকার। ভাঙচুর চালানো হয় আরও পাঁচ যানবাহনে।
এরা কী শিক্ষার্থী? শিক্ষার্থীদের এত ট্রেনিং?
