ঢাকা: সৌদি আরব থেকেও বাংলাদেশ আরো গোঁড়া হয়ে গেলো? অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে দেশটা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আঁধারে। কারণ যেখানে সংস্কৃতি, গান বাজনার চর্চা নেই, মুক্ত চিন্তার বিকাশ নেই সেখানে তো এই হবার কথা।
বাংলাদেশের মৌলবাদীরা গান বাজনার বিপক্ষে। তারা কোনো সংস্কৃতি চর্চা হতে দেবে না দেশে।
অথচ সৌদি আরব সরকার দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা চালুর বড় উদ্যোগ নিয়েছে।
এর মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের প্রাথমিক বয়স থেকেই সংগীত ও শিল্পের সঙ্গে পরিচিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের সৃষ্টিশীল প্রতিভা গড়ে তোলা।
অবশ্য এই বিষয়ে সৌদির সাথে মৌলবাদীরা নিজেদের তুলনা করবে না।
এই নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে দেশে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী শিক্ষক পদ পুনবর্হালদের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে সংগীত বিভাগের আয়োজনে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগীত বিভাগের ২০২৩-২০২৪ সেশনের শিক্ষার্থী ওহি বলেন, আমরা অনেকে এই বিভাগে পড়াশোনা করে শিল্পী হবো না। অনেকেই ইচ্ছা থাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীতের শিক্ষক হওয়া। কিন্তু সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
সংগীত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম তৈরি করে। সংগীত হলো প্রতিবাদের ভাষা। জুলাই অভ্যুত্থানের আমরা দেখেছি সংগীত কিভাবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ করেছে।
সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অতি দ্রুত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী শিক্ষক পদ পুনবর্হাল করতে হবে।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, অনেকে সংগীতকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেখে। কিন্তু এটা অধ্যয়নের বিষয়। অন্যান্য দেশগুলোর সংগীত আলাদা একটা অনুষদ।
সংগীত দরকার কারণ এটা একটি শিশুকে ভালো মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। আমাদের মানসিক বিকাশের জন্য এই সংগীত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে শারীরিক শিক্ষাও আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে।
