ঢাকা: জামায়াত বরাবরই ধর্মকে পূঁজি করে রাজনীতি করে আসছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে, বাঙালি জাতীয়বাদকে অস্বীকার করে গণহত্যাকারী পাকিস্তানের হানাদারদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা দল জামায়াত।

কখনো তারা বলছে -জামায়াতকে ভোট দিলে জান্নাতের টিকিট দিবে। কখনো বলছে- জামায়াতকে যারা ভোট না দিবে তারা কাফের।

“দুষ্টু লোকের মিষ্টি ভাষা” এই জামায়াতি চরিত্রই এটা।

লেবাস ধরা ভণ্ড এইগুলো এখন তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। ক্ষমতায় যদি যায় এদের দাঁত নখ একাত্তরে কী। দেখা গিয়েছে, তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে!

২০০১ সালে দেশ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে , মসজিদে উলুধ্বনি বাজবে এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে , বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ও মানুষকে জান্নাতের স্বপ্ন দেখিয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পরপর তিনবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে।

বিএনপি ও জামায়াতের দুঃশাসনে দেশের মানুষের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এইসব কীর্তিকলাপ জনগণ ভুলে যায়নি।

কিছু হিন্দু জামায়াতে ঢুকেছে। তবে তারা প্রাণভয়েই ঢুকেছে। এমনি নয়।

এখন জামায়াত বলছে, স্বাধীনতার পর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা সবাই হিন্দুদের ব্যবহার করে শুধু নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে।

একথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেছেন, হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামি সরকার।

তবে হিন্দুদের ভাগ্যের উন্নতি এই দেশে হয়নি , আর হবেও না। কারণ যে সরকার আসুক, হিন্দুরা সবসময় পাশার ঘুঁটি হয়েই থেকেছে। তারা কেবল ব্যবহার হয়।

শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা চত্বরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু কমিটির উদ্যোগে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়ন ও ডুমুরিয়া-ফুলতলাসহ দেশের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে এখন প্রয়োজন ইসলামি সরকার।

যাঁরা দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে ভয়-হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকিতে হিন্দুরা আর ভয় পাবে না। হিন্দুদের বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। লাঙলের শাসন দেখেছি, ধানের শীষের শাসন দেখেছি, নৌকার শাসনও দেখেছি। একটি দলই বাকি—জামায়াতে ইসলামী, তার প্রতীক দাঁড়িপাল্লা।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *