ঢাকা: আসিফ মাহমুদ এত সহজ সরল ব্যক্তি নন যে তিনি যাহা বলিবেন দেশের জনগণ তাহা বিশ্বাস করিবে!?
কথা উল্টেপাল্টে দেশের তরুণদের নিয়ে যে তিনি কী শুরু করেছেন তা দেশবাসীর আন্দাজ আছে।
জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে পুলিশের পোশাকে নামছে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত মিলিশিয়া!
এই কথায় আবার আসছি, তার আগে দেখি আসিফ কী বলছেন!
তিনি বলছেন, মিলিশিয়া বা রক্ষীবাহিনী তৈরি করার উদ্দেশ্যে নয় বরং প্রায় ৯ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণপ্রতিরক্ষায়।
এ প্রকল্পটি নিয়ে তৈরি হওয়া নানা আলোচনা-সমালোচনার জবাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, এমনকি প্রকল্পটিকে নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসাবেই সরকারের সম্মতিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে আগ্রহীদের নির্বাচনও করা হচ্ছে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে।
কখনো সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে যেন তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি রাখা উচিত। এজন্য অবশ্যই আমাদের গণপ্রতিরক্ষা ছাড়া আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার চূড়ান্ত উপায় হলো গণপ্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা। এখানে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটা সামরিক প্রশিক্ষণ থেকে অনেক দূরে।
তা হঠাৎ করে এত যুদ্ধের কথা কেন মনে হচ্ছে তাঁর? ৫ আগস্ট যে সশস্ত্র আন্দোলনের ইচ্ছে ছিলো, তা পূরণ করতেই নাকি আরো অন্য ধান্দা?
খবর আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ডাকা চার দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৭ হাজার ‘পুলিশ’ সদস্য মোতায়েনের একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বাহিনীর একটি বড় অংশ হিসেবে থাকছে পুলিশি পোশাকে সজ্জিত একটি নতুন ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী।
জানতে পারা গেলো যে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উদ্যোগে গঠিত ৯ হাজার সদস্যের একটি ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী থেকে তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের চার দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির আগেই তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে।
