ঢাকা: লুট যে হলো অস্ত্রশস্ত্র, কয়টা অস্ত্র এখন অবধি উদ্ধার করতে পেরেছে অন্তর্বর্তী সরকার? উদ্ধার তো হয়ইনি, উল্টো বিমানবন্দরের ভল্ট থেকেই অস্ত্র চুরি হয়ে গেছে!
আর এদিকে মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, বিষয়টি নাকি নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় সেখান থেকে আসলেই অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলেই সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তবে এখান থেকে নাহয় চুরি হয়নি, কিন্তু বাকি অস্ত্র? সেগুলোর কয়টা উদ্ধার করা গিয়েছে?
কয়দিন পর পর পুরস্কার ঘোষণা করেন উপদেষ্টা। লোকদেখানো কারবার আর কয়দিন?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। উদ্দেশ্য সেটাই ছিলো।
৩৬ দিনব্যাপী আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত পতন হয় শেখ হাসিনার। ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন জঙ্গী আন্দোলনের রূপ নেয়।
এবং গত ৫ আগস্ট দুপুরে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতা যখন বিজয় উল্লাস করছে, তখন কিছু সুযোগ সন্ধানী তথা জঙ্গী বাহিনী যারা ইউনূস গং এর আশ্রিত, এরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় আক্রমণ, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে।
লুটপাটের একপর্যায়ে থানায় হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এবং আসামিদের বের করে আনে।
এই অস্ত্র তো আছেই, তাছাড়া পাকিস্তান থেকে আসা অস্ত্রে এখন দেশ ভরপুর।
আর এদিকে, পুরস্কার ঘোষণা করে সাধু সাজে ইউনূসের জামাতি পুলিশ।
জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) পুলিশ সদরদফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশের পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এলএমজি উদ্ধারে পাঁচ লাখ টাকা, এসএমজি উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল এক লাখ টাকা এবং পিস্তল ও শটগান উদ্ধারে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। প্রতি রাউন্ড গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা।
এবং সন্ধানদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে থানা লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
