ঢাকা: পরীমণি বিতর্কের মধ্যমণি! ঢাকার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি সম্প্রতি তাঁর জন্মদিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের প্রেক্ষিতে প্রসূন আজাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পরীমণি মালয়েশিয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে ১০ দিনের বিশেষ সফরে জন্মদিন উদযাপন করেন। দেশে ফেরার পর ৫ নভেম্বর রাজধানীর নোঙ্গর রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক ও মিডিয়ার প্রতিনিধিদের জন্য একটি বিশেষ আয়োজন করেন।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সেলিব্রিটি। এ সময় প্রসূন আজাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়। সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেন।
তবে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পরীমণি স্পষ্ট করেন, প্রসূনকে তাঁর পার্টিতে ডাকার কোনও অপমানজনক উদ্দেশ্য ছিল না।
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে ‘লোকদেখানো’ পার্টিতে আমন্ত্রণ করে অপমান করার অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘পরী মণি মানুষদের দাওয়াত দেয়, মানুষজন যায়। যাওয়ার পর অনেকগুলা সান্ডা-পান্ডা লোক দাঁড়িয়ে থাকে। যারা আপনার হাঁটার রাস্তা আটকে জিজ্ঞেস করবে—আপনি কে?’
প্রসূন আজাদের এই অভিযোগের জবাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন পরী মণি।
পরী মণি বলেন, ‘‘প্রিয় প্রসূন আজাদ, আপনি আমাকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন যে—‘আমি আমার লোকদেখানো পার্টিতে আপনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে অপমান করেছি! আপনি এ-ও বলেছেন, আমি আমার নাম রৌশন করতে টাকা দিয়ে কতগুলো সান্ডা-পান্ডা লোক রাখি, তারা অনুষ্ঠানে আসা গেস্টদের (অতিথি) জিজ্ঞেস করেন যে তারা কারা!’’
প্রসূন আজাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
‘আচ্ছা আপু, সত্যিই কি তোমার মনে হয় আমি তোমাকে ছোট ফিল করানোর জন্য তোমাকে আমার একটা স্পেশাল ইভেন্টে ইনভাইট করব? কখনোই না বোন। তুমি নিজেও জানো আমি তোমাকে কতখানি পছন্দ করি। আমাদের কখনো দেখা হয়নি। তোমার একটা টিভি ইন্টারভিউ দেখে মুগ্ধ হয়ে আমি সাংবাদিক ইমু ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার ফোন নাম্বার নিয়ে তোমাকে কল করেছিলাম।’
যোগ করে বলেন, ‘সেদিন কত কথা হলো আমাদের! তোমার মনে আছে, আমি তোমাকে প্রথম কী বলেছিলাম! বলেছিলাম, তুমি একজন পিওর সোল। সত্যিকারের একজন খাঁটি মানুষ তুমি। তোমার বাচ্চাদের নিয়ে তোমার এই জার্নিটা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। তুমি একটা ইন্সপারেশন। তোমার খারাপ লেগেছে, তুমি আমাকে একটা টেক্সট তো করতে পারতা আপু!’
পরী মণি আরও বলেন, ‘যাইহোক, আমার ওই অনুষ্ঠানে আমার হায়ার (নিয়োগ) করা কোনো মানুষ ছিল না। যারা ছিলেন, তারা ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট থেকে ছিলেন। তারা কাউকে অপমান বা অসম্মান করার জন্য আপ্যায়নে ছিলেন না। তারা আমি এবং আমার সব গেস্টদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতেই গেটে ছিলেন।
ভাবুনতো, ওনারা গেটে এই সিকিউরিটিটা না দিলে ওই জায়গাটায় কি জনসাধারণের ভিড় ঠেকানো যেত? নাকি এত সুন্দর-শৃঙ্খল পরিবেশে পুরো অনুষ্ঠানটা শেষ করতে পারতাম! তারা শুধু তাদের কাজটিই করেছে মাই ডিয়ার!’
পরী মণি বলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন যারা ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে কত বড় মানুষ। তারা কিন্তু কেউ ছোট ফিল করেননি। আপনি জানেন না হয়তো তাহলে, এই দেশের প্রচুর মানুষ এখনও আমার নাম জিজ্ঞেস করেন।
এই তো সেদিন সিজেএফবির অনুষ্ঠানে আমাকে ইউরোর চেয়ারম্যান বললেন কী নাম তোমার? আমি তাতে মোটেও অবাক হইনি। বরং আমার ভালো লাগে আমার নাম বলতে। আমি পরী মণি। আমি খুবই দুঃখিত আপনার কাছে।’
তারপর পরী মণির পোস্টের মন্তব্যঘরে প্রসূন লিখেছেন, ‘ইটস ওকে পরী। তুমি আমাদের বাড়িতে যখন ইচ্ছা আসতে পারো কেউ জিজ্ঞেস করবে না আপনি কে? আমরা আপনজন ছাড়া সবাইকে দাওয়াত দিই না। কারণ আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। সিআইপি আসলেও আমাদের বাড়ির গেটেই তার সিকিউরিটি দাঁড়িয়ে থাকে। বাড়ির ভিতরে মহিলাদের মধ্যে আলাদা সিকিউরিটি দরকার হয় না।’
