ঢাকা: দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকার সতর্ক। এমন ভাব আসলেই নিচ্ছে তারা, মনে হচ্ছে এই জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতি সব আওয়ামী লীগের।
অথচ ভিতরে ভিতরে এরাই জ্বালাও পোড়াও করে দেশটাকে বিগত দেড় বছর ধরে ধ্বংসের সীমানায় নিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া তিন চারদিন ধরে তো সব জায়গায় আগুন দেয়া হচ্ছে। মূলত এগুলো জনগণ ভালোই বোঝে, আওয়ামী লীগের ওপর খুব সহজে দোষ চাপানোর টেকনিক।
১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। কোনও ধরনের সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না জানিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী।
তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সতর্ক রয়েছে সরকার। আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। জানিয়েছেন, আপাতত রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান তিনি।
বলেন, লকডাউন ঘিরে পেট্রলিং বাড়ানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। রাস্তার ধারে পেট্রল বেচা যাবে না। এগুলো দিয়ে অঘটন ঘটানো যায়।
কেননা ঢাকায় একের পর এক বাসে আগুন কাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল জনমনে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে যে কোনো ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করছে এবং শক্ত অবস্থানে আছে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি অন ক্যামেরা ক্রয়ের প্রক্রিয়া শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে উপদেষ্টা জানান।
তিনি বলেন, রাস্তার পাশে যে বিভিন্ন দোকানে তেল বিক্রি হয় এটা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে। অনেক সময় এ তেল ব্যবহার করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাছাড়া মেট্রো রেল, রেল স্টেশন, ট্রাইব্যুনালসহ কেপিআই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
