ঢাকা: মাদ্রাসায় ধর্ষণের ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা মুখ খুলতে চান না ভয়ে। হয়তো তাদের ইসলামবিরোধী ট্যাগ লাগিয়ে দেবে সমাজ।

সব মিলিয়ে অনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়, আর মাঝখানে শিশুরা গুমড়ে মরে। তবুও মাদ্রাসার নিরাপত্তার কথা কেউ বলে না।

চট্টগ্রামে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তাঁর নাম মো. ইসমাইল (৪৬)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বার বাসিন্দা।

সোমবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ চট্টগ্রামের বিচারক সাইদুর রহমান গাজী এই রায় দেন।

বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন এইসব বিষয়ে বারবারই মুখ খোলেন। এবং কমেন্ট বক্স ভরে যায় বিভিন্ন মতামতের কমেন্টে।

সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বহু ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের প্রতি যৌন হেনস্থার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

তাঁর মতে, “যেখানে নৈতিকতা ও মানবিকতা শেখানোর কথা, সেই স্থানগুলোই আজ অনেক সময় ভয় ও শোষণের প্রতীক হয়ে উঠছে।”

তসলিমা বলেছেন, “শিক্ষক বা ধর্মীয় গুরুর দায়িত্ব শুধু ধর্ম শেখানো নয়, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও। অথচ বারবার দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা ও ধর্ম— এই দুই ক্ষেত্রের কিছু ব্যক্তি তাদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে নৃশংসতার আশ্রয় নিচ্ছে।”

তসলিমা নাসরিন প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা কি আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশ দিচ্ছি? ধর্মের নামে যদি শিক্ষা হয় ভয় বা অপরাধের উৎস, তাহলে সেই শিক্ষা সমাজকে কী দিচ্ছে?”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *