ঢাকা: সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মহোদয়ের মিঠামইন বাসভবনে নৃশংস হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এইরকম ঘটনা কোনো সভ্য দেশে ঘটতে পারে? এই কী বাংলার রূপ?
এটি রাষ্ট্রের মর্যাদা, গণতন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলার ওপর সরাসরি ঘৃণ্য আঘাত।
দেশবাসী দাবী জানাচ্ছে, ঘটনার সাথে জড়িত সব দুর্বৃত্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে!
তবে এই দাবী ইউনূসের রাজত্বে খাটবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
যারা এই পৈশাচিক কর্ম করলো, তাদের কৃতজ্ঞতা নেই। যে মানুষটি এই বাংলাদেশে সভ্য সমাজে সভ্যতা রাস্তা ঘাট শিক্ষা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেই মানুষটির বাড়িতে হামলা!
এই ব্যক্তি ব্যাপক উন্নয়ন করে না দিলে ভাটির রোহিঙ্গা হিসেবে এখন তাদের পরিচিতি থাকতো এবং মিছিল করার জায়গা পেতো না।
অথচ এই মানুষটার সকল অবদানের বুকের উপর পা রেখে রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তী আব্দুল হামিদ সাহেবের বাড়িতেই তারা হামলা করলো।
সোমবার রাত ১১টার দিকে কামালপুর গ্রামে এই ঘটনায় বাড়ির দরজা- জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। জানা গিয়েছে , এই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
মিঠামইন থানার এসআই আল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মিঠামইন বাজার থেকে সোমবার রাতে আনন্দ মিছিল বের করে উপজেলা চাঁদাবাজ বিএনপি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশে সন্তুষ্টি জানিয়ে এই মিছিল আয়োজন করা হয়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন।
তারা বলেন, মিছিল থেকে কয়েকজন কর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ির মূল দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে জানালা ও আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে তারা। ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।
এসআই আল মোমেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি এবং কেউ আটক হয়নি।
