ঢাকা: হাদিকে নিয়ে যে রাজনীতিটা হচ্ছে, তা বুঝতে বাকি নেই জনগণের।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্তের আগেই মির্জা আব্বাসের নাম বলে দিলেন।

রিজভী বলেন, শুধু একটি প্রশ্নই করবো। ঘটনার একঘণ্টা পরই ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলেছে।

এক ঘণ্টা পরই ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাই না। কই তাদের ওপর তো কোনও ধরনের হামলা হয়নি।

আসলে, হাদির উপর হামলার ঘটনায় ১ ঢিলে ৩ পাখি।

আপাত দৃষ্টিতে তো রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই মনে হয়। তবে আপাতদৃষ্টি বলে কোনো কথা নেই রাজনীতিতে।

আসলে মনে হবে মির্জা আব্বাস এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের উপরে সন্দেহ করবে। কিন্তু মূল হোতার দিকে কারো নজর যাবে না, এই ঠান্ডা মাথার কিলিং পলিটিক্স ঘটেছে এই ঘটনায়।

কারণ, মির্জা আব্বাসকে কখনোই হাদি হারাতে পারবে না। ভোটের রাজনীতিতে ফিক্সড ভোট একটা বড় বিষয় যেটা হাদির নেই।

যেহেতু নির্বাচনে নৌকা নেই সেহেতু হাদি বড়জোড় আবুর টুপি বাবুর মাথায় দিয়ে মির্জার কিছু ভোট কাটতে পারে। এরচেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।

ঠিক আবু সাঈদ ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। মির্জা আব্বাসকে হারাতে হলে একটা লাশ প্রয়োজন। সেটা হাদির লাশ।

আর ব্লেইম দিয়ে মাঝখানে অন্য একজন সুবিধা নিলো। বুঝে ফেলেছে সবাই।

এটাই হচ্ছে মেটিকুলাস রাজনীতি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীকে ঢাকা মেডিকেলে দেখতে গেলে যারা মব সৃষ্টি করেছে, তারা হাদির মৃত্যু কামনা করেছিল।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত’ আখ্যায়িত করে মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই আঘাতকে প্রতিহত করতে হবে। অপশক্তির কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীর ওপর হামলার ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে একটি বাড়ির ইট খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারা চেয়েছিল হাদি মারা যাক।’

বলেন, ‘তার ওপর হামলায় আমি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। হাদির ওপর হামলার পর তাকে দেখতে হাসপাতালে গেলে আক্রমণাত্মক স্লোগান দেয়া হয়।’

হামলাকারীদের পরিচয় নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যারা মব সৃষ্টি করেছিল, তারা হাদির সমর্থক নয়, তারা বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোক। এই দলটি সবসময় ষড়যন্ত্র করে এসেছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *