নরসিংদী: এই লোকজন যেন এখনো প্রাগৈতিহাসিক যুগে পড়ে আছে।

নরসিংদীর মাধবদী থানার চরাঞ্চল চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর এলাকায় খেয়াঘাটের ভাড়া নিয়ে বিরোধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। টেঁটাযুদ্ধ লাগে দুই পক্ষের।

আজ, শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে টেঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এই টেঁটাযুদ্ধ শেষ হলো না এখনো। দুনিয়া কোথায় পৌঁছে গিয়েছে।

চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধের সময় যতক্ষণ যোদ্ধাদের হাতে যুদ্ধের রসদ থাকে ততক্ষণ জীবনের মায়া উপেক্ষা করে তারা জিঘাংসাদীপ্ত রোষে যুদ্ধ চালাতে থাকে- যোদ্ধারা এতটাই বেপরোয়া যেন ‘সংশপ্তক’!

আরও ভয়ংকর বিষয় হলো কেউ যদি টেঁটাযুদ্ধে অংশ না নিয়ে সহজ সরল জীবনযাপন করতে চান, সেটার কোনো উপায় নেই।

বাধ্যতামূলক টেঁটাযুদ্ধে অংশ নিতেই হবে। কোনো কারণে কেউ অংশ না নিলে পরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে জরিমানা হিসেবে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হবে। তা না হলে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে একঘরে করে রাখা হবে।

হামলা-মামলা করে একের পর এক হয়রানি করা হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত চাঁদার অর্থ না দেবেন, ততক্ষণ নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন চলতে থাকবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শহিদ মেম্বার ও চাঁন মিয়া গ্রুপের মধ্যে বহুদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে।

এর আগেও গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে শনিবার ফের ঝগড়া লাগে। পরিস্থিতি গরম হয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে হঠাৎ মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *