হঠাৎ করে বিএনপি সংসদমুখী হতে চাইছে। খুবই ভালো কথা সংসদে গিয়ে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কথা বলা, আইন পাশ করা। এবং তা বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা রাখা।
সাম্প্রতিককালে বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের কথাবার্তায় তাই মনে হচ্ছে। প্রশ্ন হলো এতদিন বিএনপি তাহলে সংসদে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করেনি কেন?
আওয়ামীলীগ শাসনামলে বিএনপি কি সংসদে গিয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারতো না? তাদের পক্ষে সেটি করা সম্ভব ছিল। কিন্তু তারা সেটি করেনি। গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ৫ আগষ্টে জঙ্গী-সামরিক ক্যু এর পর বিএনপি’র হাবভাব পাল্টে যায়।
তাদের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণ- কথাবার্তায় মনে হচ্ছিল তারা ক্ষমতায় এসে গেছে। তবে ‘মার্কিন ডিপষ্টেট ‘ আর নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনুসীয় ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ এ হাওয়া কোন দিকে ঘুরছে তা বোঝা সত্যিই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
বিএনপি’র জন্ম সামরিক ছাউনি থেকে। এখনো বিএনপি তাদের নানা অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন দিবসে দলটির প্রতিষ্ঠাতা একসময়ের সামরিক শাসক লেঃ জে জিয়াউর রহমানের সামরিক পোষাক পড়া ছবি ব্যবহার করতেই বোধ হয় গর্বিত-অহংকার বোধ করে।

না হলে সামরিক পোষাক পরিহিত ছবি কেন ব্যবহার করে দলটি সে প্রশ্ন থেকেই যায়। নাকি ছবিটি দিয়ে জনগণের ওপর একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরী করতে চায় বিএনপি? এ ছবি দিয়ে কি তারা বোঝাতে চায় যে তাদের সাথে সেনাবাহিনী রয়েছে?
অবশ্য বাংলাদেশে আরেকটি দল রয়েছে যেটিরও জন্ম হয়েছে সামরিক ছাউনিতে। সেটি হচ্ছে লে:জে:হো: মো: এরশাদের দল জাতীয় পার্টি।
অবশ্য এই উভয় সাবেক সামরিক প্রশাসক ও নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।
কেউই সংসদীয় রাজনীতিকে মানে জনগণের কথা বলার যে মূল জায়গা জাতীয় সংসদ বা পার্লামেন্ট সেটিকে প্রাধ্যান্য দেননি। তবে নানাভাবে তারা সেই সংসদকে ব্যবহার করেছেন। তার প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থার অধীনে রেখেছিলেন সংসদীয় রাজনীতিকে।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ছিলনা সেই শাসন ব্যবস্থায়। কারণ তারাতো বেসিক ডেমোক্রেসিতে অভ্যস্ত নন বা ছিলেন না। এদের মধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক ক্যু’তে নিহত হন। আর হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ অবশ্য এক গণতান্ত্রিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
কিন্তু তারপরই তিনি আবার সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদে এসেছিলেন। তার দলও যে খুব একটা খারাপ অবস্থায় ছিল তা কিন্তু নয়। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর পর দলটিতে নানা ভাঙ্গন ধরে দল অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত জঙ্গী টোকাইয়ের দল এনসিপি’র সঙ্গে বিরোধ বেশ জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠে। সেটি ইদানীং বেশি দেখা যাচ্ছে । বিশেষ করে কথিত জুলাই সনদ সই করা নিয়ে।
গত ১৭ অক্টোবর পবিত্র জুমাবারের দিন থেকেই এই বিরোধ বেশি করে ঘনীভূত হতে থাকে। বিএনপি অনেকটা ‘ ব্ল্যাঙ্ক চেক ‘ দেয়ার মত করে ড. ইউনুসকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এই ‘ জুলাই সনদ’ এ স্বাক্ষর করেছে এবং অন্যদেরকেও তাতে স্বাক্ষর করার জন্য আহ্বান করেছে।

কিন্তু দেখা গেলো খোদ কিংস পার্টি এনসিপি গোঁ ধরে বসলো যে তারা এতে স্বাক্ষর করবেনা। কারণ এতে তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে গত চব্বিশে আন্দোলন করেছিলেন তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই তারা স্বাক্ষর করেনি। আসলে এনসিপি এই ‘ জুলাই সনদ’ কে সংবিধানের ওপরে স্থান দিতে চাইছে। কিন্তু বিএনপি সেখানে বাঁধ সেধেছে।
তবে সেদিন সংসদ ভবন এলাকায় ‘ জুলাই যোদ্ধা’ দের সঙ্গে ইউনুসীয় সরকারের যে আচরণ মঞ্চস্থ হয়েছে তা অনেকটা নাটকই মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছিলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে কয়েক শ ব্যক্তি। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয় এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরপরদিন ১৮ অক্টোবর শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি, এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো সঠিক জুলাই বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কেউ থাকতে পারে না।’
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তিনি ভুলবশত, হয়তো তার কাছে তথ্য না থাকার কারণে এ রকম বলেছেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন দেশে ছিলেন না, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজপথে ছিলেন না, সেহেতু হয়তো তিনি জানেন না কে রাজপথে ছিল, কারা লড়াই করেছিল, কারা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ফলে আমাদের আহ্বান থাকবে, তিনি (সালাহউদ্দিন আহমদ) তাঁর এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করবেন এবং আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের কাছে ক্ষমা চাইবেন। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে বসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গল্প ও ইতিহাস শুনবেন।’
এর পর থেকেই মূলত এই দুই দলের নেতাদের বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি চলছে। ১৯ অক্টোবর অবশ্য নাহিদ ইসলামের ( যিনি কিছুদিন আগেও ইউনুসের সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন) সমালোচনার জবাবে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯ অক্টোবর গুলশানে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটা ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন হয়েছে বলে যদি মনে করা হয়, তবে তা সঠিক নয়।

এটা হচ্ছে ১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। সুতরাং বিএনপিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা সফল হবে না। পাশাপাশি বিএনপি’রিএই নেতা এও বলেন-জুলাই গণ-অভ্যুত্থান জাতীয় জীবনের একটি লিডিং ফোর্স, ড্রাইভিং ফোর্স।
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে কোনোরকমের কোনো কলঙ্ক দাগ স্থাপন হোক, তা তারা কখনোই চাইতে পারেন না। যেকোনো বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সবাই যেন এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এসব মন্তব্য তিনি মূলত এনসিপি’র নাহিদ ইসলামসহ এই জুলাই সনদে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বিএনপি’র বিরোধিতাকারি অন্যদের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। কারণ জামায়াতও সালাউদ্দিন আহমদ এর সমালোচনা করেছে।
**জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আগ্রহ বেশি।
বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৮ অক্টোবর শনিবার রাজধানীতে বিদ্যুৎ শ্রমিক-কর্মচারীদের এক সমাবেশে বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সড়কে নয়, সংসদে হতে হবে।
সমস্ত কর্মকাণ্ডকে পার্লামেন্টকেন্দ্রিক করতে হবে। এটা না করলে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি ফাংশন করবে না; এ কথাগুলো আমাদের বুঝতে হবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পার্লামেন্ট ডেমোক্রেসি সফল হয়েছে, সবগুলোতে কিন্তু পার্লামেন্ট হচ্ছে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু; সেখানে (সংসদ) করতে হবে।
মীর্জা ফখরুল ইউনুসের সরকারের প্রশংসা করে বলেছেন, এই সরকার এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করছে, তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছে। আমরা যে যতই বলি, এক বছরের মধ্যে সমস্ত জঞ্জালগুলো শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়।”
১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানের দিন সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবেনা বলে মন্তব্য করে বলেন, সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।
মীর্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্য দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিএনপি সংসদীয় গনতন্ত্রকে অনেক বেশি শক্তিশালী করতে চায়। দায়িত্বশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেউ যদি প্রশ্ন করেন – আওয়ামীলীগ আমলের যে সমালোচনা করা হচ্ছে সে সময় কি বিএনপি সংসদে গিয়ে বা নির্বাচনে অংশ নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে?
দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদেরওতো দায়িত্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় যেখানে সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়েরই দায়িত্বশীল ও সহনশলি আচরন আশা করে দেশবাসী তা কি বিএনপি করেছে? সে প্রশ্নের উত্তরও বিএনপিকেই দিতে হবে।
কারণ তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেমের সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছেন ১৯৯০ এর গন অভ্যুত্থানের পর থেকেই।
সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির এই দরদ যদি আগে থাকতো তাহলে অন্তত: বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি হতোনা। অবশ্য বিএনপি অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে ক্ষমতার স্বাদ পেতে উদগ্রীব হয়ে আছে। সেটাই স্বাভাবিক।

তবে তাদের চেয়ে বেশি সময় আওয়ামীলীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। ইতিহাস তাই বলে। তবে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দল আওয়ামীলীগকে ছাড়া নির্বাচন করলে তা কতটুকু গণতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে হবে সে বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন রয়েছে বিএনপির, যারা এখন সংসদকে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখতে চায়।
কিন্তু তারা আওয়ামীলীগ যখন গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করলো তখনও কারণে-অকারণে বিরোধীতাই করেছে। বার বার সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছে অযৌক্তিকভাবে।
ওই যে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও তোড়জোর নিয়ে বলছিলাম তার নমুনা দেখা যাচ্ছে দলটির। এরই মধ্যে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারের নিরাপত্তায় দলটিকে এই গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, একটি বুলেটপ্রুফ বাস কেনার অনুমতি দেওয়া হয় চলতি মাসের শুরুর দিকে। আর গত জুন মাসে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়।
কোন দেশ থেকে কোন মডেলের এই বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত না করলেও জাপান থেকে গাড়ি কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জনসংযোগ করতে সারা দেশে যাবেন। মানুষের সঙ্গে মিশবেন।
একদিকে তাদের নিরাপত্তা, অন্যদিকে জনসম্পৃক্ততা। এই সময়ে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জরুরি। সে কারণে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ির পর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিএনপি।

মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, একটি শটগান ও দুটি পিস্তলের লাইসেন্সের অনুমতি চেয়েছে দলটি। লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনাধীন বলে জানা গেছে।
স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন জাগে সামরিক ছাউনিতে জন্ম নিয়েছে যে দলটি কি সত্যিই সংসদীয় পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে সক্ষম হবে? কারণ দলটির যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়েছেন তিনি কতটুকু গণতান্ত্রিক সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে দলের অন্য নেতাদের।
# নুরুল ইসলাম আনসারি: লেখক, প্রাবন্ধিক।
