বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নিয়ে বিশ্ব মোড়ল হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নতুন সংঘাতের খেলায় মেতেছে বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস।
একদিকে প্রায় পুরো রাখাইন প্রদেশ দখল করে ফেলেছে মিয়ানমার জান্তা সরকার বিরোধী আরাকান আর্মি নামে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপটি।
অপরদিকে রাখাইন প্রদেশ থেকে কয়েকলাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে কম করে হলেও ২০ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কয়েকটি ক্যাম্প ছাড়াও নানা জায়গায় তারা অনেকটা জবরদখল করে আছে।
এই রোহিঙ্গারা মুসলিমরাও কিন্তু সেখানে এবং বাংলাদেশে ইসলামী সশস্র জঙ্গী গ্রুপ তৈরী করেছে। যা বাংলাদেশ সরকারও জানে।
সরকার মানে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জানে। অপরদিকে মিয়ানমার জান্তা বিরোধী সশস্র গ্রুপ আরাকান আর্মির সশস্ত্র সদস্যরাও বাংলাদেশের ভেতরে প্রকাশ্যে রয়েছে।
পরস্পরবিরোধী এই আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা জঙ্গী গোষ্ঠী উভয়কে নিয়েই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে। আর সেই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় কিন্তু আরাকান আর্মি প্রকাশ্যে দাপটের সাথে বাংলাদেশের ভেতরে এসে নর্তন-কুর্দন করতে পারেনি।
যেটি করছে শান্তির পায়রা ওড়ানো (!) নোবেল লরিয়েট ইউনুসের সময়ে। রোহিঙ্গা জঙ্গী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন খেকেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইসলামী দেশ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে যা দিয়ে তারা ইসলামী সশস্র জঙ্গী গোষ্ঠী তৈরী করেছে।
তবে সাহায্য এনেছিল তারা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেয়ার নাম করে। গত ২০২৪ এর ৫ আগষ্টে ‘ বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গী ক্যু’ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে ইউনুসগং নানা ফন্দি-ফিকির করতে থাকেন রাখাইন রাজ্যে একধরনের সামরিক গোলযোগ বাধিয়ে রাখার জন্য।
যেটির জন্য আমেরিকার পরামর্শে জাতিসংঘের নামে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক করিডোর দেয়া। আর এই মানবিক করিডোর দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য পাঠাতে গেলেইতো গেলেইতো মিয়ানমার সরকারসহ আরাকান আর্মির সাথে সংঘাত লেগে যাবে অবধারিতভাবে।
মার্কিনীদের ষড়যন্ত্রে ইউনুস তার গদি টিকিয়ে রাখতে এই আরাকান আর্মিকে অস্ত্র সহায়তাসহ নানা ধরনের সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মাত্র মাসখানেকের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে ‘আত্মনির্ভরতা’ অর্জনের নামে তুরস্ক সফর করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. আশিক চৌধুরী।
সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এমকেইর-এর বিভিন্ন অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
সফরে কামানের গোলা, বিস্ফোরক ও হালকা অস্ত্র উৎপাদনের ধাপসমূহ ঘুরে দেখানো হয়।
সরকারি এই সফর যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হলেও, সূত্রগুলো দাবি করছে সফরের পেছনে রয়েছে ভিন্ন উদ্দেশ্য, যা একটি বিপজ্জনক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে।
তার এই সফরকালের কিছু ছবি নেট দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, আশিক চৌধুরী তুরস্কে অস্ত্র হাতে পোজ দিচ্ছেন, অথচ এই সরকারি সফরে তার সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো উচ্চপদস্থ সামরিক প্রতিনিধি ছিলেন না।
এটি কৌতূহল ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে-সরকারি প্রতিরক্ষা উদ্যোগে কেন সামরিক বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে চলা হলো ?
সামরিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সফর কেবল একটি বিনিয়োগ উদ্যোগ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৃহৎ ভূ-কৌশলগত অপারেশনের অংশ, যার কেন্দ্রে রয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনূস একটি ‘প্রক্সি সরকার’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক থেকে অস্ত্র এনে তা মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করতে চাইছে।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রামে কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে যে বিপুল পরিমান সামরিক পোষাক আটক করা হয়েছে কাকতালীয়ভাবে গোয়েন্দা সংস্থার চাপে পড়ে সেগুলোও মূলত আরাকান আর্মির জন্যই তৈরী করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
শুধু কি তাই ? কিছুদিন আগে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার প্রায় ১০ মাইল ভেতরে ঢুকে বেশ কিছু আরাকান আর্মির সদস্য একটি অনুষ্ঠানে নাচাগানা-আনন্দফুর্তির করে গেছে। তো বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড যারা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দাবিদার সেই সদস্যরা কি করছিলেন তখন ?
তাছাড়া বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলাতে সেনাবাহিনীর ইশারা ছাড়া যেখানে গাছের পাতাও নড়তে পারেনা বলে কথিত রয়েছে তারাইবা কি করছিলেন ? সার্বভৌমত্বেও নমুনাতো দেশবাসী দেখতেই পেলো।
সূত্র জানায়, এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত অন্তবর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বা রজার রহমান।
এদের মধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি তুরস্কে গোপন সামরিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বলেও নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার নামে এই গোষ্ঠী আসলে রাখাইন রাজ্যে অস্ত্র পাচারের পথ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই করিডোরের আড়ালে তৈরি করা হচ্ছে একটি সরবরাহ চেইন, যার মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে অস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ করা হবে-তাতে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, আর কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে , তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার টাকায় জামায়াতের মগবাজার অফিস সাজানো হয়েছে।
আমেরিকার ইশারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমও অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়,বাংলাদেশে তিন পার্বত্য জেলাকে অশান্ত করতে জামায়াতকে সাথে নিয়ে এই গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এর অগ্রভাগে রয়েছে শিবিরের ক্যাডাররা। জামায়াত- শিবিরের ক্যাডাররা কেমন অস্ত্র পাবে সেটি দেখে এসেছেন সাদিক কায়েম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা একটি কার্গোতে তুরস্কে উৎপাদিত অস্ত্র ছিল, যার চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য।
এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন ড. ইউনূস ও তার আস্থাভাজন উপদেষ্টারা। বিশেষ করে মাহফুজ আলমের তুরস্ক সফর, এবং সেখানকার সামরিক বৈঠকগুলো এই পরিকল্পনার বাস্তবতা স্পষ্ট করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই করিডোর বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান জানানো হয়েছে।
সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান একাধিক বৈঠকে বলেছেন, রাখাইনে করিডোর বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
শুধু সেনাবাহিনী নয়, গত ২৮ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রকাশ্যে এই করিডোরের বিরোধীতা করে বলেছিলেন- করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তবর্তী সরকারের নয়।
এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জনগনের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ বা সরকার। কিন্তু গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পর এ নিয়ে কোন কোন কথাই বলেননি জনাব তারেক রহমান।
এমনকি যেই বিএনপি ইউনুসের সামরিক উপদেষ্টা রজার রহমান বা খলিলুর রহমানকে সহ্যই করতে পারতো না তার সঙ্গেও তারেক রহমান বৈঠক করেছেন।
সেই বৈঠকে হয়তো ড.ইউনুসের মত আন্তর্জাতিক খেলোয়ার ( ষড়যন্ত্রী) এর সাথে বাংলাদেশের আরেক ষড়যন্ত্রেও মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের গোপন লেনদেনের বিষয়টি চুড়ান্ত হয়েছে।
তা নাহলে এসব বিষয়ে একেবাওে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে কেন বিএনপি ?
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাখাইনের কিয়াউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটি চীনের কুনমিং থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত সংযোগ তৈরি করে, যা মালাক্কা প্রণালীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এই প্রকল্পে বাধা দিতেই রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং আরাকান আর্মিকে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে ব্যবহার করছে ইউনূস নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সুশীল সমাজের অনেকে আশঙ্কা করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, যার মাধ্যমে তারা বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে পারবে।
এই প্রেক্ষাপটে আরাকান আর্মিকে শক্তিশালী করা, করিডোর স্থাপন, বন্দরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ- সবই একটি বৃহৎ ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।
কোন কারনে আরাকান আর্মি যদি বিগড়ে যায় এই পরিকল্পনার অংশ থেকে তখন রোহিঙ্গা ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করারও বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে ইউনুস গংয়ের।
কিছুদিন আগের খবরে যেটি জানা গেছে, রাখাইনে চীনের বিনিয়োগ কেন্দ্র দখলের পথে আরাকান আর্মি।
সূত্রমতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াকফিউ বন্দরের কাছে সামরিক জান্তার শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়াও মো অং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) হাতে নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে কিয়াউকফিউ শহরের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি এবং একটি পুলিশ স্টেশন দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ ইরাবতির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, কিয়াউকফিউ শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পিয়াং সি কে এলাকায় জান্তা সেনার একটি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর ঘিরে ফেলেছে আরাকান আর্মি।
কিয়াউকফিউ-রাম্রি জাতীয় সড়কের পাশে পিয়াইন সি কাই জনপদও দখল করেছে তারা। তবে কিয়াউকফিউ শহরে মোতায়েন একটি সেনা ব্রিগেড এখনও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তার অদূরে রয়েছে চীনের একটি তেল শোধনাগার। সেখানে এখনও ঢুকতে পারেনি আরাকান আর্মির সদস্যরা।
এদিকে রাখাইনের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কিয়াকফিউতে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের বিনিয়োগ রক্ষাকারী চীনা বেসরকারি নিরাপত্তা গোষ্ঠীগুলো আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে ড্রোন হামলায় শাসকগোষ্ঠীকে সহায়তা করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কারেন এবং মন রাজ্যেও জান্তা বাহিনী বড় ধাক্কা খেয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ( কেনএনইউ) এবং তাদের মিত্র পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জান্তা বাহিনীর অন্তত ১২টি ঘাঁটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছে।
বিশেষ করে কারেন রাজ্যের বায়িন্ত নাউং পার্বত্য এলাকায় শুক্রবার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক ফাঁড়ি দখলে নেয় কেএনইউ বাহিনী।
প্রসঙ্গত: মিয়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশজুড়ে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাত জোরদার হয়েছে।
সাম্প্রতিক এসব সাফল্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি কৌশলগত অগ্রগতি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
# রাকীব হুসেইন, ঢাকা, লেখক, প্রাবন্ধিক।