বিরাজনীতিকরণের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে বাংলাদেশ। পুরো রাষ্ট্র কাঠামোকে পদদলিতই শুধু নয়। বুলডোজার দিয়ে চুড়মাচুর করে ভেঙ্গে ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ এর অধীনে একটি পরাশক্তির আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার সব প্রক্রিয়া চলছে।
তবে এর সবই যে ড. ইউনুস করছেন তা কিন্তু নয়। তিনিও একপ্রকার আজ্ঞাবহ হয়েই সব ধরনের ষড়যন্ত্রকে প্রয়োগ করছেন তাদের হয়ে।
এসবই চলছে ২০০৭ এর ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়কার ডিজাইন অনুযায়ী। সে সময় থেকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিরাজনীতিকরণের যে ষড়যন্ত্র চলছিল সেটিই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্ট এ শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে।
এরই মধ্যে আওয়ামীলীগসহ তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দলটির সভানেত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত বছরের ৫ আগষ্ট পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাধারন জনগণ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণও ধারনা করেছিলেন নির্বাচন হলে পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠছে।
বিএনপিকেও নানাভাবে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে বা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা দখল, চাঁদাবাজি, খুন-সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। এ দলটিও এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেকটা।
সাবেক সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টিকেও ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াত- হিযবুত তাহরীর সহ কিছু চরমপন্থী ইসলামী দলকে নানাভাবে এই মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে ।
সময়-সুযোগ মতো জামায়াতকেও সাইজ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেই ধারনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন- এ কি করে সম্ভব ? আর কোন রাজনৈতিক দল কি নেই বাংলাদেশে যারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে ?
একটু ভাবুনতো সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে এই ৪ টি দল ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দল কি তৈরী হয়েছে এর মধ্যে যাদের গণভিত্তি রয়েছে ? জামায়াতকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে না মানলেও কিন্তু তারা একটি ক্যাডারভিত্তিক দল হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে।
দলটি তার চেইন অব কমান্ড দিয়ে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ঠিকই একটি অবস্থানে গিয়েছে বা তাদেরকে সেভাবেই ওই পরাশক্তির ইশারাতেই তৈরী করা হয়েছে।
অন্য যেসব বাম ধারার রাজনৈতিক দল রয়েছে তারা এত ক্ষুদ্র ও ভঙ্গুর অবস্থায় যে তাদের যে গণভিত্তি ছিল তা তারা নিজেরাই নানাভাবে শেষ করেছে। ফলে কমিউনিস্ট পার্টি বা অন্য যেসব প্রগতিশীল ( তাদের দাবি অনুযায়ী) বাম রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের টিকে ধাকাই দায় হয়ে গেছে।
কারণ গত ২০২৪ এ শেখ হাসিনা বিরোধী জঙ্গী ক্যু এর সময় এসব দলগুলো ওই কথিত গণআন্দোলনে অংশ নিয়ে নিজেদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে তুলেছে। তারা এখন কোনভাবে নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে মাত্র, নেভার অপেক্ষায় রয়েছে বলতে গেলে।
এমনতরো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি -সে প্রশ্ন জাগাটিই স্বাভাবিক। এমনটিই ভাবানো হচ্ছে এ দেশের জনগণকে। ওই যে লেখাটির শুরুতেই ওয়ান ইলেভেনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলাম।
সেই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। সেদিন দেশে জরুরি অবস্থা জারী করে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল।
মূলত তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমদের নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল।
সেনা সমর্থিত সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পেছনেও বর্তমান সময়কার পরাশক্তিটি কাজ করেছিল। তাদের টার্গেট ছিল আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা ও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে নতুন করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করা। কিন্তু তা শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে সম্ভব হয়নি। তখন ছিল ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা।
এদেশের জনগণ যদি না ভুলে থাকেন সে সময়কার পরিস্থিতি তাহলে বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তখন সামরিক কর্তাদের কাছ থেকে বিশেষ প্রেসক্রিপশন বা নির্দেশনা যেতো দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
যার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদ্গার করে প্রচারণা চালানো হতো। দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি ষ্টার তখন নানা প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়, মন্তব্য প্রতিবেদন, উপসম্পাদকীয় ছেপেছিল রাজনীতির বিরুদ্ধে।
মানে অল্পকথায় যদি বোঝাতে যাই সে প্রচারণা ছিল মূলত- রাজনীতির বিরুদ্ধে এদেশের জনগণকে খেপিয়ে তোলা । কিছুটা সফলও হয়েছিলেন তারা। তবে বাংলাদেশের জনগণের আকাংখার বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব হয়নি তখনকার সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে।
অবশ্য এর আগে ২০০৬ সালে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস ‘ নাগরিক শক্তি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার সেই রাজনীতি তখন এ দেশের জনগণ ‘খায়নি’( এই শব্দটি রাজনীতির মাঠে প্রচলিত রয়েছে বলে ব্যবহার করা হয়েছে)।
কিন্তু এই ড. ইউনুসকেই বেছে নিয়েছিল তখন সেই পরাশক্তির দেশটি। সেই মার্কিন পরাশক্তির পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে সামনে রেখে মূল ষড়যন্ত্রটি করা হয়েছিল বলে ধারণা করছেন অনেকে।
যেহেতু শান্তিতে নোবেলজয়ী একজন বিশ্বখ্যাত মানুষ, তাই তাকে দিয়েই এ কাজটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে। এজন্য নানাভাবে বেছে নেয়া হয় ছাত্র, সংস্কৃতিসেবী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে এর সাথে সংযুক্ত করা হয়।
এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদেরকেও গত চব্বিশের কথিত আন্দোলনের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল- বৈষম্যহীন সমাজ গড়া, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ইত্যাদি ধুঁয়া তুলে। ছাত্রদেরকে রাখা হয়েছিল অগ্রভাগে।
আন্দোলনের ধাপে ধাপে কৌশলে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোকে যুক্ত করা হয়। না বুঝেই অনেকে যুক্ত হয়েছিলেন তখন এই আন্দোলনে।
যোগান দেয়া হয় সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোরের স্নাইপার রাইফেল। অত্যন্ত সুচারুভাবে একের পর এক প্রান কেড়ে নেয়া হয় এই মারনঘাতি অস্ত্রের দ্বারা। শুধু এই ৭.৬২ রাইফেলই ব্যবহার হয়নি অন্য অস্ত্র বা কুপিয়েও মানুষ মারা হয়েছে। পুলিশকে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
একসাথে দেশের অনেকগুলো থানা আক্রমন করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।লুট করা হয় অস্ত্র-গোলাবারুদ। কতজন পুলিশ খুন হয়েছে তার কোন সঠিক পরিসংখান নেই কারো কাছে।
তবে চব্বিশের এই ‘ জঙ্গী ক্যু’ তে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। দেশি-বিদেশী বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে নানা সংবাদ ছড়িয়ে দিয়ে এই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশ রক্ষার দায়িত্ব যে সেনাবাহিনীর হাতে, তাদেরকেও নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল ‘ জাতিসংঘে মিশনের টোপ’ দেখিয়ে। আসলে সেই টোপ এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে-এ জঙ্গী ক্যু এর সাথে সামরিক বেসামরিক প্রশাসনকেও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে মেটিকুলাস ডিজাইনে হঠাৎ করে দেশে ‘বিএনপি বিরোধী’ একটি ‘ ফ্লো’ তৈরী করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে আখ্যা দিয়ে, অত্যাচার নির্যাতন করে তাদেরকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। এবার বিএনপি’র পালা।
এমনিতেই বিএনপি’র আদর্শহীন লোকজন মারমুখী ও দখলবাজ হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। সর্বশেষ মিটফোর্ডে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংশ খুন করার মধ্য দিয়ে বিএনপি অত্যাচারি-জুলুমবাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে।
এখন কিছু মানবাধিকারবাদী মানুষের আহাজারি দেখা যেতে পারে। প্রকাশ্যে রাস্তায় একজন ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যার মতো বা তারচেয়ে নৃশংসভাবে হত্যা গত এগারো মাসে পুলিশ ও বেসামরিক আমলা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হয়েছে।
সেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকে জনগণের ন্যায় সংগত ক্ষোভ বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। ছদ্মবেশী জামায়াতী জঙ্গী গোষ্ঠী, বৈষম্য বিরোধী তথা কিংসপার্টি এনসিপি ও তাদের গুন্ডা বাহিনীর নৃশংসতা কারো খারাপ লাগেনি কারণ ওগুলো ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ’ এর উপর হয়েছে বলে -এমন প্রশ্নও উঠেছে।
এখন বলা হচ্ছে নৃশংসতা করেছে বিএনপি কর্মী? নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপি খারাপ এটা প্রতিষ্ঠিত করতেই এই প্রোপাগান্ডা?
সারাদেশে বিএনপি কর্মীদের অবাধ নৃশংসতা, চাঁদাবাজিকে দখলদার সরকার প্রণোদিত করছে। জামায়াতে ইসলামীর ছদ্মবেশী কিংস পার্টি এনসিপি’র দেশ জুড়ে জনসংযোগ ও প্রচারণা চলছে জোরেসোরে। ‘বিএনপি খারাপ আমরা ভালো’ এই প্রোপাগান্ডায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অতি সম্প্রতি উত্তাল হয়েছে মিডফোর্ডের ঘটনায়।
এই প্রোপাগান্ডায় কারা রয়েছে তা আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবেনা দেশবাসীকে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েলয়ে এর আগে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তখন মানবাধিকারবাদীরা ছিলো নিশ্চুপ।
বিএনপি’র এই বেসামাল অবস্থার মধ্যে লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমানের দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাকে আদৌ দেশে ফিরতে দেয়া হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। কারণ এমন কোন পরিস্থিতি বিএনপি তৈরী করতে পারেনি। অপরদিকে জাতীয় পার্টিকেও ভাঙ্গা হয়েছে কৌশলে।
বাকী রইলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একাত্তরের নরঘাতক জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি বাদ গেলে থাকে জামায়াতে ইসলামী। তাদেরকে অনেকটা ‘সৎ’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে আপাতত। তবে তাদের ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে সেটি দেখার বিষয়।
আপাতত: জামায়াত-এনসিপি কে নানাভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত করে তাদের ওপর ভর করে একটি রাষ্ট্রনীতি চালু করার ফন্দিতে রয়েছে ‘ মেটিকুলাস ডিজাইনার’ এর গড়ফাদাররা। একপর্যায়ে দেশ যখন জঙ্গীদের আস্ফালনে-দৌরাত্বে একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হবে তখন হবে মূলখেলা।
এরই মধ্যে চাঁদপুর শহরে গত শুক্রবার ১১ জুলাই একটি মসজিদের ভেতরে ঢুকে নামাজের ইমামতি করা মাওলানা নুরুর রহমানকে চাপাতি দিয়ে মারাত্বকভাবে কুপিয়ে জখম করেছে এক মুসল্লি।
সেই মুসল্লি বিল্লাল হোসেনকে উপস্থিত জনতা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এখানে কিন্তু কোন ‘মব সন্ত্রাস’ বা ‘ মব জাষ্টিস’ ঘটেনি। কারন এখানে কোন ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ’ ছিলনা সম্ভবত। যদি কোন কারনে এখানে আওয়ামীলীগের দূরতম কোন সম্পর্ক থাকতো বা কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকের কোন সংশ্রব থাকতো তাহলে তার ভবলীলা সাঙ্গ করে ফেলা হতো গত শুক্রবারই।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যন্ত কৌশলে এই ধরনের ইসলামী জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। এর পেছনেও নিশ্চয় ‘ মেটিকুলাস ডিজাইন’ কাজ করছে। দেশের মানুষকে রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলার একটি প্রয়াস বেশ সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের এই ষড়যন্ত্রে এ দেশের জনগণ কতটুকু মেনে নেয় এখন সেটিই দেখার বিষয়।
#রাকীব হুসেইন, লেখক, প্রাবন্ধিক