অবৈধ-অসাংবিধানিক- জঙ্গী ইউনুস সরকার যে আওয়ামী লীগের ভয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ দেখা গেলো ১৩ নভেম্বর ঘিরে তাদের নানা আচার-আচরম ও কর্মকান্ডে।
সারাদেশে সরকার যেভাবে পুলিশ,বিজিবি-সেনাবাহিনীসহ জামায়াত, এনসিপি-বিএনপি ও তাদের মাদ্রাসাভিত্তিক জঙ্গী ক্যাডার বাহিনী নামিয়েছে তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেলো যে কেমন কম্পমান তারা।
গত ১৩ নভেম্বর ঘিরে ইউনুস সরকারের যে কম্পমান পরিস্থিতি দেখলাম তাতে এটাই বোঝা গেলো তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন-আস্থা- বিশ্বাস কি পরিমাণ বেড়েছে। মানুষ এই জগদ্দল পাথর ইউনুস ও তার জঙ্গী বাহিনীর দ্রুত অপসারণ চায় এর মাধ্যমে এটিই প্রমাণ হলো।
ঢাকার রাজপথে কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী নামেনি। ইউনুস বিরোধী আন্দোলনের প্রাথমিক ডাকে আওয়ামীলীগের যে প্রাথমিক বড় ধরনের বিজয় এসেছে সে স্বীকার করতেই হবে।
একটি কথা খুব প্রচলিত আছে এ দেশে। তা হলো জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ২৫ আগষ্ট সপরিবারে ( শেখ হাসিনা-রেহানা ছাড়া) হত্যার পরেই কিন্তু বঙ্গবন্ধু বরং বাঙ্গালীর কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য, আদর্শিকভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন।
তেমনি কিন্তু ক্ষমতায় থাকা আওয়ায়ামীলীগের চেয়ে ক্ষমতায় না থাকা আওয়ামীলীগ আরো বেশি শক্তিশালী ও জনতার কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য ও ভরসার দল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ও পাচ্ছে।

আওয়ামীলীগের আন্দোলন থেকে জনসাধারণের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে ইউনুস সরকার তড়িঘড়ি করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার নাম করে বললো- ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে জাতীয় নির্বাচনের দিন একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। জোর করে ক্ষমতা দখলকারি বাংলাদেশের অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এও বললেন, “এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না”।

কিন্তু প্রশ্ন হলো- একটি জাতীয় সংসদ ছাড়া এই অবৈধ অন্তবর্তী সরকারের পক্ষে সংবিধান সংস্কার করার কোন এক্তিয়ার তাদের আছে কিনা? কোন এক্তিয়ার না থাকলেও তারা গত ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছে অবৈধভাবে।
ইউনুসের নিজের দল হিসেবে পরিচিত কিংস পার্টি বা জঙ্গী টোকাইদের দল এনসিপি বলেছিল এই ‘ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে মুহাম্মদ ইউনুসকে, এছাড়া তারা কোনভাবেই এটি মানবেনা। কিন্তু সেটিতো হলোনা। এখন কি করবে এনসিপি ? সে উত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিকে নিয়মানুযায়ী অবশ্যই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই গেজেট ঘোষণা করতে হবে। কেউ কেউ হয়তো বলবেন রাষ্ট্রপতি কেন এই গেজেটে সই করলেন? কিন্তু তিনি যে বাধ্য হয়ে এটি করেছেন তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
গত বৃহস্পতিবার মানে ১৩ নভেম্বর সংবিধান বহির্ভূত “উপদেষ্টা পরিষদ’ এর অনুমোদনের পরে রাষ্ট্রেপতির স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। নির্বাচিত সংসদ ব্যতীত সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন সুস্পষ্ট সংবিধান লঙ্ঘন।
১৯৭৬-৭৭ এ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সামরিক ফরমানে সংবিধানে মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের পরে মুহাম্মদ ইউনুস দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে সংবিধান পরিবর্তনে সংবিধান বহির্ভূত প্রজ্ঞাপন জারী করছেন।
“ঐক্যমত্য কমিশনে” যোগ দেয়া কোনো রাজনৈতিক দলই সংবিধান লঙ্ঘনের দায় এড়াতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র ঢাকায় ‘লক ডাউন’ কর্মসূচী পালনের আহ্বান জানিয়েছিল। আওয়ামীলীগ ফেসবুকেও আহবান করেছিল যে, বাড়ীতে বসে থাকুন, বাড়ী থেকে বের হবেন না ইত্যাদি।
কিন্তু দেশবাসী দেখলো রাজপথে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল ( পিকেটিং ও সড়ক অবরোধ) ইউনুসীয় সরকারের পুলিশ-বিজিবি-সেনা ও এই সরকার সমর্থিত জঙ্গীরা তাতে সাধারণ নাগরিকরা ভয়েই অনেকে ঘর থেকে বের হননি।
অথচ কর্মসূচী আওয়ামী লীগের ওরা কেন পিকেটিং করছে? কয়েক জায়গায় পুলিশ ব্যারিকেড মেরে বসে আছে, কেউ যেন যেতে না পারে। তাহলে কি পুলিশও এই লকডাউন কর্মসূচী পালন করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানাজনে কয়েকটি ছবি আর লেখা জুড়ে দিয়েছিল ব্যঙ্গাত্মকভাবে। একটি ছবিতে এনসিপির এক নেতা বক্তব্য দিচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে আমাদের হাসনাত আবদুল্লা একাই যথেষ্ট। পাশে আরেকটা ছবি, সেটাতে আবদুল্লা একটা সাঁজোয়া গাড়ীতে উঠছেন, উনার পেছনটা বেরিয়ে আছে হাওয়ায়, আশেপাশে কিছু মিলিটারি।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেলো- এই বীর পুঙ্গব আবদুল্লাহ ১০০ মিটার দৌঁড় দিচ্ছেন। দৌঁড়ে তিনি কোন একটি টিভি চ্যানেলের গাড়িতে করে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করছেন।
তার মানে এখনো ঢাকায় এই হাসনাত আবদুল্লাহকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দৌঁড়ানি খেয়ে পালাতে হয় ! এরাই নাকি গত চব্বিশের জুলাই-আগষ্ট এর কথিত ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের নেতা ! বড় কষ্ট লাগে ‘ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের’ নেতা আবদুল্লাহর এমন করুণ পরিণতি দেখে।
এতই যদি গণ সম্পৃক্ততা থাকে এই আবদুল্লার দলের মানে এনসিপি’র তাহলে অফিসের সামনে আবার বিজিবি কয়েকটা ভারি ভারি গাড়ী আর কয়েক প্লাটুন বন্দুকওয়ালা জওয়ান নিয়োগ করা হয়েছে কেন?
সেকি আবদুল্লাহর হাত থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষার জন্য নাকি আবদুল্লাকে রক্ষার জন্যে? এমন বীর পুঙ্গব লইয়া এনসিপি কি করিবে ?
এবার একটু দেখে নেই গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সারাদিন কি কি ঘটলো –
প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়ে জানালেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবেনা।
‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে তাও এই ব্যক্তির মাধ্যমেই জানা গেলো।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর নিজ বাড়িতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বললেন, প্রধান উপদেষ্টা “মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন”।
তবে, নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণা করায় রাতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। কি চরম বৈপরীত্য লক্ষ্য করুন এই দলটির মধ্যে। এখন এক কথা বলেতো খানিকখন পরে আবার অন্য কথা এদের !
জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোটের ঘোষণায় “জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আগামী ১৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পেলেন সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি মার্কিন নাগরিক অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এসময় বিচারপতির ছোট ছেলে তাওসিফ রহমান নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি শুরুর আগের রাতেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত পাঁচটি স্থানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরেও ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

তবে ইউনুস যে বেশ গভীর জলের মাছ তা বোঝা গেলো তার ভাষণেই। ভাষণে জুলাই সনদ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক অনুমোদন, ১৭ তারিখেই শেখ হাসিনার ‘ফাঁসির আদেশ’ জারির তারিখ নির্ধারণ, গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির কথা রাখা, পাশাপাশি জামাত, এনসিপির দাবীও কার্যত মেনে নিলেন।
এতে করে মনে হচ্ছে না সাপও মরল লাঠিও ভাঙল না। ভাষণে ইউনুস বললেন “আমি আশা করি আমাদের এই সিদ্ধান্ত জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে।”
অথচ তার আশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের আগের সিদ্ধান্তে অনড়। তাদের কথা- “জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।” প্রধান উপদেষ্টার জাতীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামাতের এই বক্তব্য এসেছে।
এরই মধ্যে আমরা দেখলাম আবারো সেই মব সন্ত্রাস। এবার সরাসরি ব্যানার নিয়েই সেই সন্ত্রাস চালালো একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকারের দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা। এর আগে ভাংচুর করা পুলিশ পাহাড়াতেই আওয়ামী লীগের সেই ভাঙাচোরা অফিসটাকে ভাংলো আর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলো শিবির ক্যাডাররা।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁর ‘ফাঁসির আদেশ’ ঘোষণার তারিখ ( ১৭ নভেম্বর) নির্ধারণ করে দিলেন। তবে একাত্তরের কৃখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতে ইসলামী নিশ্চয়ই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে ১৬ নভেম্বর ‘যমুনা’র সামনে অবরোধ করবে এবং দাবী আদায়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে যাবে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার অবধি কিংসপার্টি মানে এনসিপি’র প্রতিক্রিয়া কি তা পাওয়া যায়নি। তারা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি যে, তারা জামায়াতের সাথে থাকবে নাকি বিএনপির সাথে থাকবে ।
অনেকের কাছে ইউনুসের ভাষণে মনে হতে পারে সব বাঁধা অতিক্রম করে অবশেষে যথাসময়ে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই জায়গাতেই তিনি পাকা খেলোয়ার। তিনি জামায়াতকে দিয়ে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করে যাবেন।এই আন্দোলনে সঙ্গ দেবে এনসিপি।
আওয়ামীলীগ ভার্চুয়াল লকডাউন কর্মসূচী দিয়ে তিনটি বিষয়ে সফল হয়েছে। তা হলো-আবারো জনসাধারণের মধ্যে নিজেদের অবস্থান তৈরী করা, ইউনুসসহ তাদের সব প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করা ও এর মধ্য দিয়ে নিজেদের এবং সব বিরোধীদের শক্তি যাচাই করে নেয়া।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন সফল হওয়ার পর শেখ হাসিনা বর্তমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ইন্টেরিমের ঘুম হারাম ও হৃদকম্পন বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রাথমিক আন্দোলন সফল হওয়ায় ধীরে ধীরে মাঠে নেমে আসা কর্মীরা যে সংখ্যায় বাড়তে থাকবে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এতে করে বোঝা গেছে যে, মানুষ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগের ওপর নানা কারণে বিরক্ত ও সমালোচনা মুখর থাকলেও সংবিধানের বাইরের কোন অগণতান্ত্রিক-অনির্বাচিত অসাংবিধানিক অবৈধ সরকারকে পছন্দ করেনা।
নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী গত ১৩ নভেম্বর এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও রাজধানী ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে ঐতিহাসিক সেই বাড়িতে গিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। যে বাড়িটি বাঙ্গালীর মুক্তির যাদুঘর হিসেবে ইতিমধ্যেই বাঙ্গালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই বাড়ি।
কিশোরটি সেখানে দিয়ে বাড়িটির ইট সংগ্রহ করে পরম মমতায় তা সংরক্ষণের জন্য ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ইউনুসীয় পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে সেময় পুলিশ ও কতিপয় সংবাদকর্মী/ ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রশ্নের জবাবে সে দৃঢ়ভাবেই জানিয়েছে সে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি থেকে কিছু উপাত্ত সংগ্রহ করে রাখে। তার ব্যাগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইও ছিল।

এই যে একেবারেই নবীন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বাঙ্গালীর মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যে ভালোবাসার উন্মেষ ঘটেছে তা যে কোথায় প্রোথিত রয়েছে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।
# ইশরাত জাহান, লেখিকা , প্রাবন্ধিক ও নারী সংগঠক।
