একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের সংবিধানকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র পুরোপুরি পাকা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনুস সরকার।

আর এতে তার মূল সহযোগী হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী, জঙ্গী টোকাইদের দল এনসিপিসহ আরো কয়েকটি চরমপন্থী ইসলামী দল। এদের সবার লক্ষ্য একটাই।

বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করে একটি চরমপন্থা ইসলামী জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করা। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মুলা ঝুলিয়ে জাতিকে যে চরমভাবে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে তা আর বুঝতে বাকী নেই বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের।

একদিকে ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে- ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কিন্তু অপরদিকে জামায়াত-এনসিপি ও চরমপন্থী ইসলামী দলগুলোর মাধ্যমে হুমকি দেয়ানো হচ্ছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে।

এই কথিত গণভোট এর মাধ্যমে জঙ্গী-প্রতারক ইউনুস সরকার বাংলাদেশের সংবিধানকে পদদলিত শুধু নয় সংবিধান বাতিলেরও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সেই গত চব্বিশের জুলাই মাসে কথিত কোটাবিরোধী-বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছদ্মাবরণে তাদের যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে নানা সময়ে নতুন নতুন ফন্দি বের করেছে ইউনুস সরকার।ফেলেছে নতুন নতুন ফাঁদ।সেজন্য নতুন বেশ কিছু ইস্যু তৈরী করা হচ্ছিল ও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আওয়ামীলীগকে ফ্যাসিবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নানাভাবে দেশি-বিদেশী প্রচার মাধ্যমে তা প্রচার করানো হয়েছে।দেশের ডান-বাম-চরমপন্থী ইসলামী দল, সরকারি বেসরকারি-সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র,সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীসহ সবাইকেই অত্যন্ত কৌশলে ব্যবহার করা হয়েছে। এর সবই করা হয়েছিল ‘ফ্যাসিবাদ তাড়ানো’, ‘গণতন্ত্রকে মুক্তি দেয়া’, ‘বৈষম্য দূর করা’, ‘ ভারতীয় আগ্রাসন’ ইত্যাদি গালভরা বুলি ও স্লোগানে।

এজন্য বাম ঘরানার রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবীদের ব্যবহার করা হয়েছে, নানা প্রলোভনে একধরনের মোহের মধ্যে ছিল তারা। কিন্তু সেই মোহ ভাঙ্গা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই।

আর এর মধ্যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারি দল আওয়ামীলীগকে বিতারিত করা হলো দেশ থেকে।আওয়ামীলীগ ও তার সমর্থকদের ওপর চলছে প্রচন্ড স্টীমরোলার।

মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযোদ্ধাদের চরমভাবে অপমানিত করা হলো। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙ্গালী সংস্কৃতি সবকিছুকেই মুছে ফেলার সমস্ত প্রক্রিয়া চালমান রয়েছে।শিক্ষাকে শেষ করে দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। শিক্ষকদেরকে নানাভাবেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে, হচ্ছে। আর এখন চলছে শিক্ষকদের ওপর লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ আর পুলিশ-সেনাদের বুটজুতোর তলায় পিষ্টকরণ প্রক্রিয়া।

জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও চরমপন্থী ইসলামী জঙ্গী দলগুলোকে দিয়ে একটি ইসলামী বিপ্লবের দেশ বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনুস বাহিনী। অফিসিয়ালি আওয়ামীলীগ যেহেতু নিষিদ্ধ তাই তার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল রয়েছে বিএনপি।

কিন্তু সেই বিএনপিকে বোকা বানাতে সময় লাগেনি বেশি।আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মুলা ঝুলিয়ে বিএনপিকে লোভ দেখিয়ে কথিত জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হলো। কিন্তু ইউনুসের গোপণ ইঙ্গিতে তার গঠিত কিংস পার্টি বা জঙ্গী টোকাইদের দল এনসিপি কিন্তু এখনো সেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।

আর জামায়াত ও তার সহযোগী দলগুলোসহ এনসিপি এখন সরকার ও বিএনপিকেও চরম হুমকি দিচ্ছে।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামীর নেতারা হুমকি-ধমকি দেয়াসহ নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

এরই মধ্যে গত ৬ নভেম্বর ঢাকায় ইসলামী দলগুলোর সমন্বয়ে এক সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব।’

জামায়াতের এই আঙ্গুল বাঁকা করার হুমকি যে কি তা নিশ্চয়ই বুঝতে বাকী নেই দেশবাসীর। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি’র নেতারাও বুঝে গেছেন তাদের অবস্থান কত নড়বড়ে করে দিয়েছে ইউনুস।

কিন্তু এখন তাদের আর সেই জায়গা থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। যদিও তারা সভা সমাবেশ আর মিডিয়ার সামনে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আগে জাতীয় নির্বাচন চাই।

তারপর নির্বাচিত সংসদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এসব মন্তব্যে এখন আর খুব একটা সুবিধে করতে পারছেনা তারা।

বিএনপি এখন প্রচন্ড ভয় পাওয়া শুরু করেছে জামায়াত-এনসিপি ও চরমপন্থী ইসলামী দলগুলোকে ।

বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে এক সমাবেশে ইউনুস সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন,ওপরতলার কিছু শিক্ষিত লোক যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে ঘাড়ের ওপর গণভোট ও সনদের মতো বিষয় চাপিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি ড. আলী রিয়াজের নামটি নিতেও ভয় পেয়েছেন বলে মনে হলো।

একই সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকটা দল বলছে, নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। আর আমরা বলছি, নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে।’

উপস্থিত লোকজনকে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি গণভোট, সনদ এসব বোঝেন? এসব বোঝেন শিক্ষিত কিছু ওপরতলার লোক। যারা আমেরিকা থেকে এসে এসব আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপাচ্ছেন। আমরাও মেনে নিয়েছি। তারা যতগুলো সংস্কার করতে চান, তাতে আমরা রাজি আছি। যেটাতে রাজি হব, সেটা বাস্তবায়িত হবে। যেটাতে রাজি হব না, সেটা পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে তর্ক-বিতর্ক হবে, এরপর তা পাস হবে।’

খেয়াল করুন বিএনপির মতো একটি বড় দল যারা বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় ছিল, সারা বাংলাদেশে যাদের অসংখ্য নেতাকর্মী-সমর্থক রয়েছে তাদের দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল জামায়াত- এনসিপি- ড. আলী রিয়াজের নাম মুখে আনতে ভয় পাচ্ছে!

তিনি তো নতজানু হয়ে স্বীকারই করে নিলেন যে- ‘তাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে এবং তারা তা মেনেও নিয়েছেন।’ কি অকপট নিঃশর্ত-নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ!!

এমন চরম সংকটে আর পড়েনি কখনো বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে। এমনকি তারা যে অভিযোগ করে যে, আওয়ামীলীগের একটানা ১৫ বছরের শাসনামলে তারা গণতন্ত্রের দেখা পায়নি তা কি কোন যুক্তিতে টেকে এখন ?

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটে সংবিধান সংশোধনী পাশ করাতে পারলে ‘সাংবিধানিকভাবেই’ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার আর প্রয়োজন থাকবে না।তার মানে দাঁড়ালো- জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো তাদের এতদিনের লালিত ষড়যন্ত্র জুলাই সনদ দিয়েই বর্তমান শাসন ব্যবস্থা বহাল রাখতে পারবে।

তারা যে এতদিন স্লোগান দিয়ে- আল্লাহর আইন চাই তার বাস্তবায়নে আর কোন বাঁধাই থাকবেনা তাদের।দেশে ইসলামী হুকুমতের অনেকটাই পূরণ করতে পারবে। শুধু তাই নয় অন্য যেসব গণতান্ত্রিক দল রয়েছে তাদের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

মানে এটির মধ্য দিয়ে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধানকেই ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এতে কোন সন্দেহ নাই।তাদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আর কোন বাঁধাই তখন থাকবেনা বা কেউ বিরোধীতা করলেও তার বা তাদের রিুদ্ধে তখন ‘কতল আইন’ বাস্তবায়নেও কোন সমস্যা থাকবেনা আইনগত (!)ভাবে।

তাই বিএনপি এখনও যে সংবিধান সংবিধান করে কথা বলতে পারছে সেই বিএনপি’র রাজনীতিও হয়ে পড়বে অবধারিতভাবে মৃত্যুদন্ড। বিএনপির রাজনীতিই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরও আর প্রয়োজন হবেনা।

নির্বাচন অনিশ্চিত হলে বিএনপি’র সতেরো বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার দুঃসহকাল আরও দীর্ঘ হবে।জামায়াতের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে কোন মোকাবেলা করার উপায়ও নেই তাদের এখন।

একেতো এই জামায়াতকে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি এতকাল ধরে মিত্রদল হিসেবে পরম বন্ধু, আত্মার আত্মীয় হিসেবে মূল্যায়ন করে এসেছে। কিন্তু তারাই যে তাদের চরম প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে তা বুঝতে পারেনি অর্বাচীন রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠা বিএনপি।

কিন্তু বিএনপি বোকার মত মনে করেছিল তারা যদি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তাহলে বুঝি ইউনুস সরকার তাদেরকে ‘ফেভার’ করবে।

এজন্য বিএনপি নেতা মীর্জা ফখরুলের মুখে ইউনুসের স্তুতিবাক্য শুনেছে দেশবাসী। ইউনুসের মধ্যে নাকি তিনি জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছেন! হায়রে ইউনুস বন্দনা!

বিএনপি নিজেকে ইউনুসের খাস বন্ধু হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল।তাই তারা তড়িঘড়ি করে কথিত জুলাই সনদের সকল পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন মানতে বাধ্য থাকবে বলে স্বাক্ষর করেছে।কিন্তু এতে করে জামায়াত-এনসিপি সর্বোপরি প্রতারক-ভন্ড ইউনুস সরকার যে বিএনপির রাজনীতি শেষ করতে দাসখতে সই নিয়ে নিয়েছে তা বুঝতে পারেনি এতদিনের বড় রাজনৈতিক দলটি। একেই বোধ হয় বলে- নিজের পায়ে নিজেই কুড়োল মারা।

তাই খুব দ্রুত বিবেচনাপ্রসূত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গণআন্দোলনের ডাক দিতে না পারলে বিএনপির রাজনীতির মৃত্যুঘন্টা বাজতে যে সময় লাগবেনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।সেই সাথে দলটিও শেষ হবে, সাথে আওয়ামীলীগের অনুপস্থিতিতে দেশটিকেও ফেলবে গভীর সংকটে।

বাংলাদেশের ‘ অতীত’ নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অন্যতম হোতা শান্তিতে নোবেল পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনুস।যিনি গত চব্বিশের ৮ আগষ্ট থেকে বাংলাদেশে জগদ্দল পাথরের মত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে বসে আছেন কথিত অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।

গত ২৮ অক্টোবর তিনি বলেছিলেন,জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ‘সঠিকভাবে’ পালন করতে পারলে ‘বাংলাদেশ অতীত থেকে মুক্ত হতে পারবে’ ।

তিনি সেদিন আরো কিছু মন্তব্য করেছিলেন। যা হলো- ‘আজকে একটা মহান ঐতিহাসিক দিবস’- এ কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা শুরু করেছিলাম অভ্যুত্থান, তারপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল জুলাই ঘোষণা।

জুলাই ঘোষণার পরে জুলাই সনদ। “আজকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন—এই জুলাই সনদের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটা ঐতিহাসিক পরিবর্তন।”

গত চব্বিশের ৫ অগাস্ট ‘মার্কিন ডিপস্টেট’ আর ইউনুসের ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের তথাকথিত গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দুই ধাপে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের মধ্যে প্রথম পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ সংলাপ, বৈঠক ও তর্কবিতর্কের পর জুলাই সনদ গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যে আওয়ামীলীগ ১৩ নভেম্বর তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘লকডাউন’ কর্মসূচী বাস্তবায়নের ডাক দিয়েছে। কিন্তু এর আগেই সারাদেশে আওয়ামীলীগের ওপর নতুন স্টীমরোলার চালানো শুরু করে দেবে নিশ্চিতভাবে ইউনুস সরকার।

এ জন্যই হয়তো আগামী ১৩ নভেম্বর ঘিরে কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউনুস সরকারের জঙ্গী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে:জে: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:)।

তবে দেশকে এই জঙ্গী প্রতারক ইউনুস, জঙ্গী জামায়াত-এনসিপি’র কবল থেকে মুক্ত করতে আওয়ামীলীগের বিকল্প কোন রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। আর সেজন্য হয়তো একাত্তরের ন্যায় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।

আওয়ামীলীগের শত সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা সত্ত্বেও এই দলটির ওপরই ভরসা এখনো এ দেশের গণমানুষের।

#রাকীব হুসেইন, লেখক, প্রাবন্ধিক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *