ঢাকা: বাংলাদেশের করুণ কাহিনী! এক বছর ধরে এই করুণতার শুরু! শেষ কোথায়? জানা নেই!
আগস্ট ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ বাংলাদেশের জন্য এক দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, গ্লানিময় ও বেদনাবিধুর অধ্যায়।
এক বছরেই আমরা দেখেছি, কীভাবে একটি অবৈধ ও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা পুরো জাতিকে হতাশা, অভাব, ভয় এবং ক্ষোভের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে, দেশের সার্বভৌমত্বকে ইউনূসরা পরিণত করেছে বিদেশি স্বার্থের খেলাঘরে।
বিচারের বাণী এখন নীরব। আদালতের প্রতিটি দরজায় ধ্বনিত হয় অসহায়তার দীর্ঘশ্বাস।
বিচারপতিরা ভয়, স্বার্থ বা রাজনৈতিক আনুগত্যের শিকলে বন্দি হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ধরে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি যে রিকশাওয়ালা ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে ফুল দিতে গিয়েছিলেন, তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছে ইউনূসের পুলিশ।
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
চব্বিশ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ২ নম্বর পারুলিয়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শাওন (৪৮), ঢাকার হাতিরঝিল থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক শেখ কবির উদ্দিন (৬৩), বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের ভাইস চেয়ারম্যান ও মোরেলগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রাসেল হাওলাদার (৪৩), তেজগাঁও থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হোসেন ওরফে বুলবুল (২১), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩৮) এবং সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ (৪৭)।
এদিকে, টেকনাফে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে— টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেক মাহমুদ রনি ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান।
কী তাঁদের অপরাধ? কিচ্ছু না। কোনো অপরাধ নেই। হয়তো তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কিংবা শোকসভায় অংশ নিয়েছেন। এটাই তাঁদের অপরাধ!