ঢাকা: এরা পাকিস্তানের রক্ত বহন করে চলেছে দেহে, ধমনীতে। অথচ এদের পোশাক আশাক ধর্মীয়। এক দেখায় কেউ যদি না জানেন ভাববেন খুব ধার্মিক। কিন্তু ধর্মের আড়ালে, লেবাসধারী জামায়াতের আসল ধর্ম এই বাংলাদেশের মানুষের অজানা নয়।

জামায়াত ৪ লক্ষাধিক নারীকে ধর্ষণ করে এখনও কোরআন এর দোহাই দিয়ে বাঁচতে চায়।

স্বাধীনতার সূচনা মুহূর্ত থেকেই কিছু গোষ্ঠী ছিল যারা দেশের জন্মকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের প্রধান ছিল জামায়াত-ই-ইসলামি।

১৯৭১ সালে জামায়াত সরাসরি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সহযোগী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আজও তারা নিজেদের সেই পরাজয়ের শোধ নিতে নতুন নতুন ছক আঁকছে।

জামায়াত-ই-ইসলামি ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ে প্রমাণ করেছে যে তারা কখনোই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করেনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দুদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে। হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম নিলে এদের বেহেস্তের চাবি খুলে যায়।

এখনো সরাসরি জামায়াতে যোগ দিতে বাধ্য করছে হিন্দুদেরকে।

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ২৫ জন ‘সনাতন’ ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে দলের জেলা কার্যালয়ে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেন।

জামায়াতে নাম লেখানো সুমন কুমার সাহা বলেন, “আমরা জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছি, কারণ এ দলের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটা আমাদের ভালো লাগে।

“আমরা আমাদের ধর্ম পালন করব; তারা তাদের ধর্ম পালন করবে। এতে কারও কোনো সমস্যা হবে না।”

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ লতিফুর রহমান বলেছেন, ‘সনাতন’ ধর্মাবলম্বীরা স্বতস্ফূর্তভাবে জামায়াত ইসলামীর রাজনীতিতে যোগদান করেছেন।

“আমাদের রাজনীতি নীতি, আদর্শ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। তাদের এ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে মানুষ আদর্শভিত্তিক রাজনীতির প্রতিই আস্থা রাখে। সনাতন ধর্মাবলম্বী ২৫ জন জামায়াত ইসলামীতে যোগদান করেছেন । আগামীতে আরো অনেকেই যোগ দেবেন।”

হ্যাঁ সেটাই হচ্ছে। আরো ৮০ টি পরিবার যোগ দিলো জামায়াতে। যা কাম্য নয়। অথচ এই হিন্দুরা বিভীষিকাময় জীবন পার করছেন।

মুখে যাই বলুন, সনাতনীরা কেমন আছে তা সবাই জানে। এগুলো আর বুঝ না দিলেও চলবে।

৮০ হিন্দু পরিবার জামায়াতে যোগ দিলো— এই খবর শুনেই মনে হলো দেশে যেন নতুন অফার চলছে:
“ভয় থাকলে জামায়াত আছে!”

সংখ্যালঘুরা আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে ধর্ম নয়, ভোটের অঙ্কই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে।

রাজনীতিবিদরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে “ধর্ম রক্ষা হবে”, কিন্তু বাস্তবে মানুষ ভাবে—
“আচ্ছা, আমার বাড়িটা কি রক্ষা হবে?”

আজ ৮০ পরিবার গেলো জামায়াতে, কাল হয়তো আরও ১০০ পরিবার যাবে।

কী মনে করেছেন ঘর বাঁচবে? নারী গুলো ধর্ষণ থেকে বাঁচবে? বাঁচবে না, আগেও বাঁচেনি, এখনো বাঁচবে না।

ঝিনাইদহে শৈলকুপায় ৮০টি হিন্দু পরিবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শৈলকুপার ভান্ডারীপাড়া গ্রামের মন্দিরে উপজেলা জামায়াতে আমির এ এস এম মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে জামায়াতে যোগদান করেন তারা।

একযোগে ৮০ হিন্দু পরিবার জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করায় জেলাব্যাপী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *