ঢাকা: বাংলাদেশকে ভারত যত পরিমাণেই সহযোগিতা করুক, বাংলাদেশ তার প্রতিদান দিচ্ছে প্রতিহিংসা দিয়েই।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার বসতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা।
প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে আয়োজন হয়েছে জোরজবরদস্তি। কারণ ভারত আগেই জানিয়েছে ঢাকায় তারা অংশ নেবে না। কূটনৈতিক অস্থিরতার সময় ভারত বাংলাদেশে আসতে রাজি হয়নি। তবে বাংলাদেশ এই বিষয়ে বেশ অহংকারের পরিচয় দিয়েছে।
এর ফলে বহুল আলোচিত সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভা বয়কট করায় উদ্বেগ আরো বেড়েছে।
যেহেতু ভারত আগাগোড়া সবসময় বাংলাদেশের পাশেই ছিলো বা আছে, সে জায়গায় বাংলাদেশের এই হঠকারিতা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
তাছাড়া দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫ আগস্টের পর থেকে একবারে তলানিতে। যদিও ভারত আবার সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
পাঁচতারকা হোটেলে বসবে এই বৈঠক। এতে অংশ নিতে এসিসির সভাপতি মহসিন নকভিও হাজির হয়েছেন ঢাকায়।
আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। এশিয়ার ২৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৬-১৭টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন এখানে।
তবে এতে শুধু ভারত নয়, ভারতের দেখাদেখি শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানও ভারতের অবস্থানের সঙ্গে একমত হয়ে বৈঠকের ভেন্যু নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
এমনকি তারা এই সভা বাংলাদেশে না করে অন্য কোথাও করার প্রস্তাবও দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
কিন্তু বাংলাদেশ অটল থেকেছে ফলে চাপ বাড়ছে।
এদিকে মাছ ঢাকার প্রবল চেষ্টা করছেন আতঙ্কে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেছেন, বিসিবি কেবল এই সভার ‘হোস্ট’, এর বাইরে কোনো নীতিনির্ধারণী বা রাজনৈতিক ভূমিকা নেই তাদের।
ঝাড়া হাত পা হবার চেষ্টা করছে। তবে বাস্তবের পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশের জন্য এটি খুব সুখবর বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের দহরম মহরম লক্ষ্য করছে ভারত। শত্রু পাকিস্তানকে কোনোভাবেই ভারত টলারেট করবে না। এবং তার মিত্রকেও না। ফলে বিষয়টা অন্যদিকে মোড় নেয়া স্বাভাবিক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভির নেতৃত্বে এই সভা হওয়ায় বিসিসিআই এতে অংশ নেয়নি।
রাজনৈতিকভাবে শীতল সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের মঞ্চেও। পিসিবির সঙ্গে বিসিবির সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা ভারতের চোখে ভালোভাবে ধরা পড়েনি।