রংপুর: ৫ আগস্টের পর সবাই নেতা বনে গেছে। যে ক এর খ লিখতে জানে না সে-ও বিশাল বড় নেতা। নেতার দাদাগিরিতে মহল্লা কাঁপে।
এইবার তো এমন এক নেতা ছাত্র ছাত্রীদের পিটিয়ে আহত করে ফেলেছে! এতবড় শিক্ষিত নেতা বাচ্চা কীভাবে পড়াতে হয় জানে না, মেরে ফাটিয়ে ফেলছে।
তবে তিনি এখনো নিজেই ছাত্র। তবু এই অবস্থায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির (বিলুপ্ত) সাবেক আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমদ ইমতি।
প্রায় ৫০ বাচ্চাকে বেত দিয়ে মেরে আহত করেছেন। নেতার পাওয়ার।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। তবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই নেতা। কিন্তু ১৮ দিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
ইমতিয়াজ নিজেই ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ বিশাল বড় মাপের নেতা বনে যান। এরকম উদাহরণ আরো আছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক হওয়ার পর তার ক্ষমতার দাপটে কাঁপতো এলাকার মানুষ।
প্রভাব খাটিয়ে সব নিয়ম উপেক্ষা করে ছাত্র হয়েও হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদটি বাগিয়ে সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছিলেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের টিফিন শেষে ক্লাস চলছিল। এমন সময় ইমতিয়াজ মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে গিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির কক্ষে যান।
সেখানে ছাত্রছাত্রীদের কাছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে চান। যেসব শিক্ষার্থী ‘অকৃতকার্য’ হয়েছে, তাদের ডেকে বেত দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন।
শিক্ষকরা কিছু বলার সাহস পাননি। নেতা বলে কথা! যদি সাসপেন্ড করে দেন।
এটা তো কোনোভাবেই ‘শাসন’ নয়, শিক্ষার্থী নির্যাতন। একই সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধ। এমন শত শত অপরাধ হচ্ছে, অপরাধী কাঁধ চওড়া করে হেঁটে যাচ্ছে।