ঢাকা: ১০ মাসের অবৈধ সরকার প্রশ্ন তুলছে আওয়ামী লীগ নিয়ে। আওয়ামী লীগকে কি রাজনৈতিক দল বলা যায়?
পাল্টা প্রশ্ন আসে এখানেই, তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামাত রাজনৈতিক দল?
ষড়যন্ত্রকারী ইউনূস কী করে বুঝবেন আওয়ামী লীগ বাঙালির আত্মার প্রতিচ্ছবি।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানুষের আস্থার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। দুঃসময়ের ঝড় যতই প্রবল হোক না কেন, জনতার ভালোবাসা ও সমর্থনই দলটিকে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা জুগিয়েছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে এসেছে।
ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধ—প্রতিটি আন্দোলনে দলটি জাতির পাশে থেকেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর, তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে।
স্বৈরশাসন ও ষড়যন্ত্রের মুখেও আওয়ামী লীগ কখনো পিছু হটেনি। জনগণের শক্তিকে পুঁজি করে দলটি বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এই অবিচল সংগ্রামই প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি বাঙালি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি।
জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে।
পরিমার্জিত একটা দেশকে পচনের দিকে নিয়ে যাওয়া মুহাম্মদ ইউনূস প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল বলা যায় কি-না’!
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, ‘তবে দেশ ও রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে একটি সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত’।
চারদিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে লন্ডনের প্রভাবশালী নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেন ড. ইউনূস।
সংলাপটি হয় রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স মিলনায়তনে।
তাকে সরাসরি বলা হয়, আপনি জনগণকে তাদের মত জানানোর সুযোগ দিচ্ছেন না। এটাকে গণতন্ত্র বলা যায় না। এটা ঐকমত্য নয়, বরং আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী আচরণ!
এই জায়গায় ইউনূসের আত্মা কেঁপে যায়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উত্তরে বলেন, এই নিয়েও বিতর্ক আছে। বিতর্কটা হলো— আওয়ামী লীগ আসলে এখনো একটি রাজনৈতিক দল কিনা?
যারা তরুণদের রাস্তায় হত্যা করে, মানুষ গুম করে, রাষ্ট্রের টাকা চুরি করে; তাদের কি এখনো রাজনৈতিক দল বলা যায়?
আমি কোনো রায় দিচ্ছি না, কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অসাংবিধানিক অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের মুখে শেখ হাসিনার কথা শোনা যায়।
বলেন, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর দেশের মানুষ উৎসব করেছে, যেন এক ধরনের মুক্তি পেয়েছে।
আমি ভেবেছিলাম, তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ অধ্যায়ের অবসান হলো। কিন্তু দেখা গেল, পালিয়ে যাওয়ার পরও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের বাইরে থেকে উস্কানি দিচ্ছে, রাজপথে সংঘাতে নামছে। ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের কেউ এখনো দুঃখ প্রকাশ করেনি।
কেউ বলেনি, ‘আমি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, খারাপ লেগেছে। কারও আদেশে কেউ মারা গেছে। বা আমি এর জন্য দায়ী নই’।
ইউনূসের এই ১০ মাসে দেশ একদম রসাতলে গিয়েছে। নিজের নামে যা যা মামলা ছিলো, সব তুলে খালাস হয়েছেন। আর জনগণকে উপহার দিয়েছেন শুধু দারিদ্রতা। এবং তিনি সরকারের টাকায় আমোদ করছেন।
বিনাবিচারে, ভুয়া মামলায় আটকে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের।
গণতন্ত্র অপহরণ ও মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক ১০০ জন এমপির কারাবরণ একটি গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত।
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ বারবার পদদলিত হচ্ছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে অঘোষিত অভ্যুত্থান ঘটে, এবং তারই ধারাবাহিকতায় দেশের ১০০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) আজ কারাবন্দি মিথ্যা, মনগড়া অভিযোগে এবং বিনা তদন্তে।
এটি একটি ভয়াবহ, অমানবিক ও অসাংবিধানিক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে অবৈধ সরকার দেশের আইন, বিচারব্যবস্থা ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।
যেসব বিদেশি চক্র ও অভ্যন্তরীণ অপশক্তি মিলে এই অসাংবিধানিক সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের উদ্দেশ্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন পথকে ধ্বংস করা।
জাতির বিবেক আজ প্রশ্ন করছে কেন মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের বন্দি করা হচ্ছে?
আজ রাজাকারেরা মুক্ত আকাশের নিচে গলা উঁচিয়ে কথা বলে, মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দী রাখা হয়, এটা ইউনূসের নিরাপত্তা প্রদান?
আওয়ামী লীগ এক বিশালাকৃতির দল।আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কিছুই নেই।আওয়ামী লীগ ছিলো,আছে,থাকবে।
রাজপথের আওয়ামী লীগ মানে ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব প্রদানকারী আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে ত্রিশ লক্ষ লোক প্রান দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ইউনূস। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার সম্মানের জায়গা নেই।