ঢাকা: সন্ত্রাসবাদে দণ্ডিত বাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে? আর তাঁকে স্যার স্যার বলে পাগলের মতো ছুটে এলেন আমাদের মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা! চোরে চোরে মাসতুতো ভাই তাঁরা! রক্তের টান ভুলবেন কী করে?
প্রায় সাড়ে ১৭ বছর পর হঠাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেখা গেল সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে।
এই ঘটনা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এমনিতেই এই সরকার দাগী, তার উপর আসামী বাবর হঠাৎ জাহাঙ্গীরের কোলে?
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সাড়ে ১৭ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি তিনি মুক্তি পান।
এই অন্তর্বর্তী সরকার যত দাগী আসামি আছে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে জেল থেকে। এবং আদালত তাদের হাতের চিপায় পড়ে আছে। আদালতের চোখে এখন ২১ আগস্ট বলে কোনো ঘটনাই নেই। তাই এই বাবর, তারেক আসামিরা এখন নির্দোষ। কী অদ্ভুত না?
সমালোচিত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার মতো গুরুতর অভিযোগে দণ্ডিত তিনি। আসামির সাথে সরকারের ওঠা বসা, এ তো আর আলাদাভাবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবেনা!
এই আসামির অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মুক্তি লাভের পর সরাসরি দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ দপ্তরে গমন এবং উপদেষ্টার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠককে অনেকেই অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়।
উল্লেখযোগ্য যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন এই বাবর।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হলো, বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খুব শীঘ্রই দেশে ফেরার ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরো একটি বিষয় হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁদের বৈঠককে হাল্কাভাবে দেখাতে চেয়েছেন। তবে আসামি বাবর কিন্তু বৈঠকটিকে “গুরুত্বপূর্ণ” বলেছেন।
দেখা গিয়েছে, রোববার বিকেলে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন লুৎফুজ্জামান বাবর।
বিকেল সোয়া ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এবং বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, “তারেক রহমান দ্রুত ফিরে আসবেন।”
তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সাড়ে ১৭ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছি।”