ঢাকা: বাংলাদেশের অবস্থা বেহাল। বিক্ষোভের কাছে মাথানত করলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জেহাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশটার বারোটা বাজিয়ে ছাড়লো মুহাম্মদ ইউনূস।

এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

শনিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আওয়ামী লিগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল ডানা মেলে আছে। দল নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এবং নিষিদ্ধ করার পেছনে আছে মৌলবাদী ও জিহাদি শক্তি। এমন পরিস্থিতিতে রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউনূসের সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে।

১০ মে তারিখে বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকার এক প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের দল ও যে দলের হাত ধরে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

জার্মান আওয়ামী লীগ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য ও সমর্থন ঘোষণা করছে । বাংলাদেশের সকল মুক্তিকামী অসাম্প্রদায়িক জনতা এই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।

জার্মান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি মিজানুর হ খান এবং সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূইয়া বকুল বাংলাদেশের নাগরিক দেশের ভিতরে ও বাইরে যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকারের এই প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। ইউরোপে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রতিটি হাই-কমিশনে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ লিপি প্রদান করা হবে বলে জার্মান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে জানান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি মতে, অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের ম্যান্ডেটহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলার মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়।

বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ মানে হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধকে নির্বাসিত করা এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশ্রয় দেওয়া।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *