ঢাকা: জুলাই জঙ্গী আন্দোলনের অনুপ্রেরণা বানিয়ে দেয়া হলো কাজি নজরুল ইসলামকে। বিএনপি আর কী করবে?

কাজী নজরুলকে স্মরণ করলে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হয়, মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করতে হয়। কিন্তু সেটা তো করবে না বিএনপি! ছেঁকে ছেঁকে গ্রহণ করে এরা।

ধানমণ্ডি ৩২ দখল করে কাজি নজরুলকে স্মরণ করে বিএনপি। দ্বিচারিতা চরম এদের।

১৯৭১ বাঙালি জাতির অমলিন যুগচিহ্ন। স্বাধীনতা তার সোনালি ফসল।

হাজারো কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ধাবমান শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতেই স্বাধীন স্বদেশ পেয়েছিল এই বঙ্গ। ‘জয় বাংলা’ শব্দটি প্রথম কে বলেছিলেন?

বিদ্রোহী কবি, বাঙালির স্বাধিকারের কবি নজরুল ইসলাম প্রথম ‘জয় বাংলা’ শব্দটি লিখেছিলেন। আর আমাদের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ‘জয় বাংলা’ শব্দটিকে শানিত অস্ত্রের মত ব্যবহার করেছিলেন।

বাঙালির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নে যাদের নাম চলে আসে, তাঁরা হলেন—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম। এ দুই মহাপ্রাণের জন্ম না হলে বাঙালি পেত না তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

বিএনপি রাজাকারের দল। এগুলো স্মরণ করার সাধ্য তাদের নেই।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কথা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলে মন্তব্য করেছেন ।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কবির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।

রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র কাজী নজরুল ইসলামের চেতনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণাও ছিলেন এই কবি।

নজরুলকে এই জায়গায় নামিয়ে আনলেন তিনি।

বিএনপি এই নেতা বলেন, রমজানের আগেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৫ বছরের বঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

উন্নয়নতর গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যা বলে গেছেন কবি। খালেদা জিয়া তারেক রহমান তার চেতনাকে ধারণ করে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *