ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে পরে আবার যোগ দেয় বিএনপি।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠক থেকে তারা ওয়াক আউট করে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২০তম দিনের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বেলা ১১টার দিকে শুরু হয়।

তবে এক পর্যায়ে সরকারি কর্ম কমিশন, দুদক, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ ইস্যুতে আলোচনা থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপি।

ওয়াকআউট নয়, এটা আসলে পুরনো নাটকের নতুন দৃশ্য। বিএনপির এই ‘ওয়াকআউট’ কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়।

আসলে বিএনপি এমন এক ‘গণতন্ত্র’ চায়, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না, থাকবে শুধু বিজয় মঞ্চ।

যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী আর আছেই বা কে?

তবে বিএনপি এভাবে চলতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে আমলে না নিলে বিএনপির পক্ষে কঠিন হবে পথচলা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ীকমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সাময়িক সময়ের জন্য ওয়াকআউট করলাম কারণ আমরা বলেছিলাম, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য কমিটি করা এবং এটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হবে।

যাতে সাংবিধানিক এবং সংসদীয় কোনোভাবেই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব না হয়, ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি না হয়, সেজন্য আমরা তিনটি জায়গায় ব্যবস্থা রেখেছি।

তিনি বলেন, এ তিনটি জায়গার মধ্য দিয়ে এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি হবে যাতে কোনোভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

এ ছাড়াও বিচার বিভাগের সংস্কার, যেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি এবং আস্তে আস্তে সেগুলো হয়ে যাচ্ছে। সেটি হলে সেগুলোও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহিতা থাকে সেটা ঠিক হবে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *