ঢাকা: দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিতে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে জামাত-এনসিপি।

জামাত চায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।এনসিপি চায় নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন।

এদের প্রধান ধান্ধা হচ্ছে, নির্বাচন ঠেকাও। কারণ একটাই, এখন নির্বাচন হলে এনসিপি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে এবং তাদের চাঁদাবাজি ও ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।

এই দুই গ্রুপ বাংলাদেশকে ভয়াবহ সংকটে ফেলে দেবে।

ইউনূস বলে জাতীয় নির্বাচন, তবে এখন ধীরে ধীরে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক কথা শোনা যাচ্ছে।

নাহিদ, পাটোয়ারী বলে গণপরিষদ নির্বাচন, ডাস্টবিন বলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে?

আলী রিয়াজের তো আবার নতুন সংবিধান তৈরি।নতুন সংবিধান রেডি হলে আবার গণপরিষদের নির্বাচন কেন?

জঙ্গী এনসিপি মনে করে, তারা কোনভাবেই মেজরিটি বা সম্মানজনক ভোট পাবে না। কারণ এদেশে ভোটের রাজনীতি ভিন্ন।

এখানে জনগণ পুরনো দল, প্রার্থীর এলাকায় পরিচিতি দেখে ভোট দেয়। নতুনে আস্থা থাকে না। আর ছিল টোকাইদের কীর্তিনাশা সর্বনাশা জনগণ দেখছে।

এনসিপির ঢাকায় ভালো পরিচিতি থাকলেও গ্রামে তাদের কেউ চেনে না। তবে গণপরিষদ নির্বাচন হলে, সংস্কার করতে পারবে। সংবিধান বাতিল করে আধুনিক সংবিধান তৈরি করতে পারবে।কারণ এরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী।

তাছাড়াও অনেক প্রশ্ন আছে, গণপরিষদ নির্বাচনই যদি তাদের ডেস্টিনেশন হয়, তাহলে তারা ঐক্যমত্য কমিশনে গেলো কেন?

মিটিং ও নাস্তা করে জনগণের ট্যাক্সের পয়সা উড়ালো কেন? সময় নষ্ট করা?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলার মধ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপি।

বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতিগুলো চলছে, আমরা এনসিপি জনগণকে সংগঠিত করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নতুন একটি সংবিধানের জন্য মাঠে নামছি এবং বাংলাদেশে যদি কোনো নির্বাচন হয়, আগে গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলের নেতারা এই দাবি তুলে ধরেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *